কলম্বাস ক্রুর হোম ম্যাচ। ওহিওর দলটি ঘরের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে লোয়ার ডট কম ফিল্ড। কিন্তু লিওনেল মেসির ম্যাচ আয়োজন করার সক্ষমতা সেই মাঠের কমই। দর্শক ধারণক্ষমতা যে মাত্র ২০ হাজার। যে কারণে একই মালিকের এনএফএল দল ক্লিভল্যান্ড ব্রাউনসের মাঠ হান্টিংটন ব্যাংক ফিল্ডে সরিয়ে নেওয়া হয় কলম্বাস ক্রু–ইন্টার মায়ামি ম্যাচটি।

আজ বাংলাদেশ সময় ভোরে অনুষ্ঠিত মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ম্যাচটিতে দর্শক উপস্থিতিতে হয়েছে মাঠের রেকর্ড, ১–০ গোলে জিতেছে ইন্টার মায়ামিও। যে জয়ে ২০২৫ এমএলএসে একমাত্র দল হিসেবে অপরাজিত থাকা নিশ্চিত করেছে মেসির দল।

কলম্বাস ক্রু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বার্তায় জানিয়েছে, আজকের মায়ামি-কলম্বাস ম্যাচ দেখতে হান্টিংটন ব্যাংক ফিল্ডে ছিলেন ৬০ হাজার ৬১৪ জন দর্শক, যা এই মাঠে এনএফএলের বাইরে সবচেয়ে বেশি দর্শকের ম্যাচ। ২০০২ সালের নভেম্বরে আমেরিকান ফুটবলের ব্রাউনস-স্টিলার্স ম্যাচ দেখেছিলেন ৭৩ হাজার ৭১৮ জন দর্শক।
মেসির উপস্থিতিতে দর্শকের রেকর্ড অবশ্য নতুন কিছু নয়। কানসাস স্টেডিয়ামে মেসির খেলা সর্বশেষ ম্যাচে দর্শক ছিলেন ৭২ হাজার ৬১০ জন। বোস্টনের মাঠে ৬৫ হাজার ৬১২ এবং গত সপ্তাহে শিকাগো ফায়ারের মাঠ সোলজার ফিল্ডেও ৬২ হাজার ৩৫৮ দর্শক উপস্থিত হয়েছিলেন।
এমএলএসের ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সের ৩০ দল মিলিয়ে অপরাজিত ছিল মাত্র দুটি দল। ইন্টার মায়ামি ও কলম্বাস ক্রু। আজ দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে মায়ামি জিতেছে ১–০ ব্যবধানে। ম্যাচের ৩০তম মিনিটে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মার্সেলোনা ভেইগান্টের ক্রস থেকে হেডে গোল করেন যুক্তরাষ্ট্রের মিডফিল্ডার বেঞ্জামিন ক্রেমাচি। শেষ পর্যন্ত এই গোলের ব্যবধান ধরে রেখেই মাঠ ছাড়ে মায়ামি।
৮ ম্যাচ শেষে মায়ামির অবস্থান ৮ ম্যাচে ৫ জয় ও ৩ ড্রয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে। ৯ম ম্যাচে প্রথম হারের দেখা পাওয়া কলম্বাসের পয়েন্টও ১৮, অবস্থান চারে। এ ছাড়া ৯ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট করে নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষ দুটি স্থানে শার্লট ও চিনচিনাতি।
ইন্টার মায়ামির পরবর্তী ম্যাচ শুক্রবার কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে। সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ম্যাচটিতে মেসিদের প্রতিপক্ষ কানাডিয়ান ক্লাব ভ্যানকুবার হোয়াইটক্যাপস।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইন ট র ম য় ম কলম ব স ক র

এছাড়াও পড়ুন:

এনএফএলের দলের নাম কীভাবে বেঙ্গলস হলো

সিনসিনাটি বেঙ্গলস। এনএফএল বা ন্যাশনাল ফুটবল লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজি। মাথায় হেলমেট পরে খেলা রাগবি–জাতীয় খেলাটি আমেরিকান ফুটবল হিসেবেও পরিচিত। বাংলাদেশ কিংবা উপমহাদেশে প্রায় অপরিচিত সেই খেলার জনপ্রিয় একটি দলের নাম বেঙ্গলস হলো কীভাবে? বাংলার সঙ্গেই বা এর যোগ কোথায়?

দলটির ডোরাকাটা জার্সি দেখলেই অবশ্য যোগসূত্র খুঁজে পাওয়ার কথা। ঠিক ধরেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় পশু বেঙ্গল টাইগারই। বেঙ্গল টাইগারের মতোই ডোরাকাটা জার্সি দলটির।

যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যের দলটি অবশ্য সরাসরি বেঙ্গল টাইগার থেকে নিজেদের নাম কিংবা জার্সি বেছে নেয়নি। দলটি শুধু একই রাজ্যের পুরোনো একটি দলের সম্মানেই নিজেদের নাম ও জার্সি বেছে নিয়েছে। সেই ক্লাবটির নামও ছিল সিনসিনাটি বেঙ্গলস। দলটি ১৯৩৭ থেকে ১৯৪২ সালের মধ্যে তিন মৌসুম খেলেছে সে সময়ের আমেরিকান ফুটবল লিগে।

গত সপ্তাহের এক ম্যাচে সিনসিনাটি বেঙ্গলসের খেলোয়াড়েরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেসি গোল করেছেন, তবে জেতেনি মায়ামি
  • এনএফএলের দলের নাম কীভাবে বেঙ্গলস হলো