মামা-মামি ও বোনকে হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড
Published: 20th, April 2025 GMT
মামা-মামি ও মামাতো বোনকে হত্যার দায়ে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রাজিব কুমার ভৌমিক (৩৬) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৩-এর বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান রায় ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন: তিন স্বজনকে গলা কেটে হত্যাকারী রাজীব গ্রেপ্তার
আরো পড়ুন:
রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
‘ধর্ষণ ও হত্যার পর ঝলসে দেওয়া হয় শিশু জুঁইয়ের মুখ’
আদালত-৩ এর অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হামিদুল ইসলাম দুলাল রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়ার পর থেকে আসামি পলাতক রয়েছেন।”
সাজাপ্রাপ্ত রাজিব কুমার ভৌমিক উল্লাপাড়া উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের মৃত বিশ্বনাথ ভৌমিক ও প্রমিলা রানী ভৌমিকের ছেলে। তিনি নিহত বিকাশ সরকারের ভাগ্নে।
আরো পড়ুন: একই পরিবারের ৩ জনকে হত্যার ঘটনায় মামলা
মামলার সূত্রে জানা যায়, অর্থ লেনদেনকে কেন্দ্র করে ২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি তাড়াশ পৌর এলাকার বারোয়ারি বটতলা এলাকার বাসিন্দা বিকাশ সরকার (৪৫), তার স্ত্রী স্বর্ণা রানী সরকার (৪০) ও মেয়ে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী পারমিতা সরকার তুষিকে (১৫) গলা কেটে হত্যা করেন রাজীব। এ ঘটনায় নিহত স্বর্ণা রানী সরকারের ভাই সুকমল চন্দ্র সাহা বাদী হয়ে নাম না জানা ব্যক্তিদের আসামি করে তাড়াশ থানায় মামলা করেন।
আরো পড়ুন: নিজ বাড়িতে তালা ভেঙে মিললো বাবা, মা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ
মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া মামা-ভাগ্নের কথোপকথনের সূত্র ধরে রাজিবকে আটক করে সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ রাজিব কুমার ভৌমিককে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। স্বাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ রাজিবকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক।
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ শতাংশ
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল বাবদ ৩২১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-মার্চ) ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ২৫৭ কোটি ডলার। সেই হিসেবে এ বছর বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এমনকি চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে গত অর্থবছরের কাছাকাছি ঋণের সুদাসল পরিশোধ হয়ে গেছে।
বিদেশি ঋণ-অনুদান পরিস্থিতির ওপর গতকাল বুধবার প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বিদেশি ঋণ বাবদ পরিশোধের মধ্যে আসলের পরিমাণ ২০১ কোটি ডলার। সুদ বাবদ ১২০ কোটি ডলার পরিশোধ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে ৬৪ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে।
ইআরডির একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আগ্রাসী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় পরিণাম চিন্তা না করে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হারের তারতম্য বাড়াসহ নানা কারণে এখন বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে দেশে মোট প্রায় ৪৮১ কোটি ডলার সমপরিমাণ বিদেশি ঋণ-অনুদান এসেছে। এ সময়ে ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হয়েছে অর্থছাড়ের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের সমান। এদিকে গত জুলাই-মার্চ সময়ে ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ, যা গতবারের একই সময়ে পাওয়া প্রতিশ্রুতির অর্ধেকের কম।
গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৭২৪ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল। জুলাই-মার্চ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১২২ কোটি ডলার ছাড় করেছে এডিবি। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক ১০৭ কোটি ডলার ও জাপান ৮৯ কোটি ডলার দিয়েছে।