অভিনয়শিল্পী সংঘের ত্রিবার্ষিক মেয়াদের নির্বাচনে গত শনিবার সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন নন্দিত অভিনেতা ও নির্দেশক আজাদ আবুল কালাম। শিল্পীদের কল্যাণে নানামুখী কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। পেশার স্বীকৃতি পেতে সর্বপ্রথম কাজ শুরু করতে চান এ অভিনেতা।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অভিনয় যে একটা পেশা, সেটাই এখনও রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত নয়। আমার চাওয়া অভিনয় রাষ্ট্রীয় পেশা হিসেবে স্বীকৃতি পাক। এই কাজটি আমার আগের কমিটির নেতারাও করতে চেয়েছেন। আমি চাইব সেটি যেন বাস্তবায়ন হয়। এ ছাড়া আমাদের নতুন কমিটির কাজ হলো আগের কমিটি যে কাজগুলো শুরু করেছিল, সেগুলোর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে আমাদের সংগঠনের ভূমিকা জোরালো থাকবে। একটু খেয়াল করলে দেখবেন যখনই এ ধরনের পরিস্থিতি হয়েছে, অভিনয়শিল্পী সংঘ জোরালো প্রতিবাদ করেছে। তবে সবার প্রতিবাদের ভাষা তো আর এক হবে না। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব নেগোশিয়েট করতে। কখনোই আমরা আক্রমণাত্মক হব না। তবে আমরা সব সময় শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষায় পাশে থাকব, ন্যায়সঙ্গতভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চাই।’

সবশেষে নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন সবসময়ই সুষ্ঠু হয়। এবারও তার ব্যত্যয় হয়নি। অভিনেতাদের চোখে নেতা হতে পারেন এমন ২১ জনকে নির্বাচন করেছেন তারা। সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো, এটা কোনো প্যানেলভিত্তিক নির্বাচন নয়। প্রত্যেকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেছেন। আর আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি যে, অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচনে জিতবে ২১, হারবে না কেউ। তার মানে হলো এখানে হার-জিত কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। তবে এটা একটা চ্যালেঞ্জিং অর্জন।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল

সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।

আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’

মঞ্চে আর্টসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ