আল-আকসায় বোমা মেরে ধ্বংসের হুমকি, আমিরাতের নিন্দা
Published: 21st, April 2025 GMT
জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ ও গম্বুজ আল-সাখরাকে বোমা মেরে ধ্বংস করার হুমকি দেওয়া চরমপন্থি ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের বক্তব্যের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। একই সঙ্গে পবিত্র শনিবার উদযাপনের সময় খ্রিস্টানদের ওপর পুলিশি হামলারও নিন্দা জানিয়েছে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, পবিত্র শনিবারে জেরুজালেমে খ্রিস্টানদের গির্জায় প্রবেশে বাধা দেওয়া এবং তাদের ওপর শারীরিক হামলার যে ঘটনা ইসরায়েল ঘটিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করে আমিরাত।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই ধরনের দমনমূলক কাজের ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে এবং এগুলো আরো উত্তেজনা ও অস্থিরতা তৈরি করছে।
আমিরাত বলেছে, ইসলাম ও খ্রিস্টধর্মের সব পবিত্র স্থানের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি এবং আল-হারাম আল-শরিফ এলাকায় যেসব উসকানিমূলক ও গুরুতর লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে, তা বন্ধ করতে হবে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে এই উত্তেজনা বন্ধ করার দায়িত্ব নিতে হবে উল্লেখ করে আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন কিছু না করার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, সব ধরনের সহিংসতা ও অবৈধ কাজের বিরোধিতা করে আমিরাত।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, পবিত্র স্থানগুলোর দেখভালে জর্ডানের ঐতিহাসিক ও আইনি দায়িত্বকে সম্মান করা উচিত। জেরুজালেম ওয়াকফ বিভাগ এবং আল-আকসা মসজিদ, গম্বুজ আল-সাখরা ও আশপাশের এলাকা পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা খর্ব করা যাবে না।
সব শেষে আমিরাত বলেছে, পবিত্র স্থানগুলো রক্ষায় জর্ডান যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাতে তারা পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করছে।
ঢাকা/হাসান/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’