সালটা ২০১৫। এক ঝলমলে মে মাসে মুক্তি পেয়েছিল একটি ছোট, নির্ভেজাল, অথচ মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্পের সিনেমা ‘পিকু’। এক বাবা-মেয়ের সম্পর্ক, এক অপ্রত্যাশিত রোড ট্রিপ, আর তার মাঝখানে গড়ে ওঠা কিছু সহজ অথচ গভীর মুহূর্ত– এ নিয়েই ছিল ছবিটির কাহিনি।

সিনেমায় দীপিকা পাড়ুকোনের চোখে ক্লান্তি আর ভালোবাসা মেশানো চাহনি দেখেছিল দর্শক, কিংবা অমিতাভ বচ্চনের মুখে ‘কনস্টিপেশন’ শব্দটাকে নতুন করে জীবন্ত হতে দেখেছিল তারা। আর ছিলেন প্রয়াত ইরফান খান। তাঁর প্রতিটি সংলাপ ছিল যেন এক বাস্তবতা।

তিনজন অভিনেতার মেলবন্ধনে গড়ে উঠেছিল এক আবেগঘন ছবি, যা এক দশক পরেও মানুষ ভোলে না। সেই ‘পিকু’ এবার ফিরছে। আগামী ৯ মে, মুক্তির ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আবারও বড়পর্দায় আসছে ছবিটি। 

সম্প্রতি দীপিকা পাড়ুকোন তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে শেয়ার করেছেন ছবিটির বিশেষ কিছু মুহূর্ত এবং একটি ভিডিও। ভিডিওতে অমিতাভ বচ্চন স্মৃতিচারণ করেছেন পিকু ও ভাস্করদার সেই রোড ট্রিপের কথা, বলেছেন ‘এটা ছিল অপ্রত্যাশিত, ছিল আবেগ, হাসি আর উত্তেজনা। পিকু আবার আসছে সিনেমা হলে.

.. দেখবেন, তাই না?’

দীপিকা নিজেও যেন সিনেমাটি নিয়ে একটু আবেগপ্রবণ। পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এটি একটি ছবি, যা সবসময় আমার অন্তরের খুব কাছাকাছি থাকবে… ইরফান, আমরা আপনাকে মিস করি। প্রায়ই আপনার কথা ভাবি।’

‘পিকু’ শুধু একটা সিনেমা নয়, অনেকের কাছে এটা একটা অনুভব। এখানে নেই কোনো অতিরঞ্জিত নাটকীয়তা। আছে শুধু এক সাধারণ মেয়ের জীবন, তাঁর দায়িত্ব, ভালোবাসা, আর তাঁর ক্লান্তি। বাবা-মেয়ের জটিল অথচ গভীর সম্পর্ককে এত সরলভাবে পর্দায় তোলা বাংলা বা হিন্দি, খুব কম ছবিই পেরেছে।

সিনেমাটি যখন প্রথম মুক্তি পায়, তখন শুধু দর্শকদের ভালোবাসাই পায়নি, ভারতে ৬৩ কোটি, আর বিশ্বব্যাপী ১৪১ কোটি টাকা আয় করে নিয়েছিল। অমিতাভ বচ্চন এই ছবির জন্য পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ