শেষ বার্তায় যা বলেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস
Published: 21st, April 2025 GMT
খ্রিস্টান ধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন। মৃত্যুর আগের দিন ইস্টার সানডেতে পোপ ফ্রান্সিস শান্তির বার্তা দিয়েছেন। তার পক্ষ থেকে এক সহকারী বক্তব্য পাঠ করেন, যেখানে তিনি বলেন, অন্যের মতামতের প্রতি সম্মান ছাড়া কখনোই প্রকৃত শান্তি আসতে পারে না। ধর্মীয় স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া শান্তি সম্ভব নয়।
পোপ তার শেষ ভাষণে গাজাবাসীদের, বিশেষ করে সেখানকার খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর কথা স্মরণ করেন। চলমান সংঘাতের কারণে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়কে তিনি ‘দুঃখজনক’ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বলেন, “এই সংঘাত মৃত্যু ও ধ্বংস ডেকে আনছে।”
তিনি বিশ্বব্যাপী বাড়তে থাকা ইহুদি-বিদ্বেষকে "উদ্বেগজনক" বলেও উল্লেখ করেন।
পোপ বলেন, “বিশ্বের নানা অঞ্চলে চলমান যুদ্ধগুলোতে আমরা যে মৃত্যুর পিপাসা ও হত্যার উন্মাদনা দেখছি, তা ভয়াবহ।”
তিনি আরও বলেন, “আমি ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি উভয় জনগণের কষ্টের পাশে রয়েছি। যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি, জিম্মিদের মুক্তি দিন এবং ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান, যারা শান্তিময় ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে।”
এছাড়াও, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে “ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার” আহ্বান জানান।
সোমবার ভ্যাটিকানের কাসা সান্তা মার্তা বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে ভ্যাটিকান নিউজ সার্ভিস। ৮৮ বছর বয়সে মারা গেলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের গুরুতর জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। এর আগে ইতালির রোমে একটি হাসপাতালে বেশ কিছুদিন চিকিৎসা চলেছে তার।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দলের প্রতি অনুগত থাকার অঙ্গীকার, জামায়াতে যোগ দিলেন মেজর (অব.) আ
বিএনপির সাবেক নেতা, সাবেক এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি জামায়াতে যোগ দেন।
মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দলটির অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দলটিতে যোগ দিয়ে তিনি ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ, দেশের স্বার্থ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবশিষ্ট জীবন অতিবাহিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিয়ম-নীতি, আদর্শ, দলীয় শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের প্রতি সর্বদা অনুগত থাকার অঙ্গীকার করেন।
ডা. শফিকুর রহমান এ সময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন এবং তার দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করেন।
যোগদান অনুষ্ঠানে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ রাজনীতিক। বিএনপিতে থাকা অবস্থায় দলটির বিরুদ্ধে মন্তব্য করাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি আলোচিত হন।
বিএনপি থেকে দুইবার কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//