প্রায় দুই দশক হয়ে গেল ধারাবাহিকভাবে নিজেকে পপ কালচারের আলোচিত চরিত্র হিসেবে ধরে রেখেছেন কার্ডাশিয়ান। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপই যেন জন্ম দেয় আলোচনার। খুব কম তারকাই এতটা তারকাখ্যাতি সামলাতে পারেন, কিন্তু কার্ডাশিয়ান অন্য ধাতুতে গড়া। বিখ্যাত হওয়ার জন্যই যেন বিখ্যাত হয়েছেন তিনি।
এই এখন যেমন একটি মামলাকে কেন্দ্র করে আলোচনায় ৪৪ বছর বয়সী এই তারকা। ২০১৬ সালে প্যারিস ফ্যাশন উইকে গিয়ে ডাকাতের কবলে পড়েছিলেন। হোটেলকক্ষে সেই ডাকাতির ঘটনায় তাঁর কয়েক মিলিয়ন ডলারের অলংকার খোয়া যায়। কার্ডাশিয়ান অভিযোগ করেন, মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে এসব অলংকার লুট করা হয়। চুরি যাওয়া অলংকারের মধ্যে ছিল কার্ডাশিয়ানের তখনকার স্বামী র্যাপার কানিয়ে ওয়েস্টের দেওয়া হীরার আংটি। এ ঘটনায় ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়। ২৮ এপ্রিল প্যারিসে মামলাটির পরবর্তী শুনানি।
তারকাখ্যাতি
১৯৮০ সালের ২১ অক্টোবর লস অ্যাঞ্জেলেস কিম কার্ডাশিয়ানের জন্ম। বড় হতে নানা ধরনের ঘটনার সাক্ষী হন তিনি। ১৯৯১ সালে তাঁর বাবা দুঁদে আইনজীবী রবার্টের সঙ্গে মা ক্রিসের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আবার বিয়ে করেন মা। পাত্র ১৯৭৬ সালের অলিম্পিকে ডেকাথলনজয়ী ব্রুস জেনার। পরে ব্রুস আবার রূপান্তরিত হন। নাম হয় কেইলিন জেনার। বছর কয়েক পর কার্ডাশিয়ানের বাবা রবার্ট বিখ্যাত এক মামলা লড়েন। ১৯৯৫ সালে মার্কিন ফুটবল কিংবদন্তি ওজে সিম্পসনের বিরুদ্ধে সাবেক স্ত্রী ও তাঁর বন্ধুকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। সিম্পসনের হয়ে রবার্টই মামলাটি লড়েন এবং সিম্পসনকে ছাড়িয়ে আনেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাদক সেবনরত অবস্থায় ৪ ঢাবি শিক্ষার্থী আটক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে গাঁজার আসর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাবির শেখ মুজিব হলের পুরাতন ভবনের ১০৩ নম্বর কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়।
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জানান, তারা কবি জসীম উদদীন হল ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল থেকে এই হলে তাদের এক বন্ধুর কক্ষে আসে। সেখানে তারা গাঁজা সেবন করছিল বলে পাশের রুমগুলো থেকে শিক্ষার্থীরা এমন অভিযোগ করে। পরে সেখানে দুজন আবাসিক শিক্ষক যান। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের চারজনকে প্রক্টরিয়াল অফিসে নিয়ে যান।
আরো পড়ুন:
বিভিন্ন অপরাধে যবিপ্রবিতে শিক্ষকসহ ৪ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
ডাকসু নির্বাচন: পঞ্চম দিনে মনোনয়ন ফরম নিলেন ১৮ জন
আটক চারজন হলেন, কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডার বিভাগের আরিফ ফয়সাল, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের সোহেল রানা, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের রুহুল আমীন এবং ছাপচিত্র বিভাগের ইয়ালিদ বিদ সাদ। তারা সবাই ঢাবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের (প্রথম বর্ষের) শিক্ষার্থী।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সহকারী প্রক্টর ড. মো. মিরাজ কোবাদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে যে, তারা সেবন করেছে। তবে তারা ক্ষমা চেয়েছে এবং এ ধরনের কাজ আর করবে না বলে জানিয়েছে। তারা এ বিষয়ে দুটি মুচলেকা দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “যদি দরকার হয় প্রশাসন বহিষ্কারসহ প্রয়োজনীয় শাস্তি দিতে পারবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরিবারকে হল কর্তৃপক্ষ জানাবে।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী