কুমিল্লা শহরতলির শাসনগাছায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গতকাল রোববার গভীর রাতে ঝটিকা মিছিল করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সবাই আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী।

গ্রেপ্তার আটজনকে সোমবার বিকেলে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মাহিনুল ইসলাম। এর আগে রোববার রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ শাসনগাছা এলাকায় নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে খবর পেয়ে রাতভর নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কুমিল্লা শহরতলির চানপুর ইউনুস মেম্বারের বাড়ি এলাকার মো. আরিফ, নগরের মোগলটুলী এলাকার আবদুল হান্নান, ছোটরা এলাকার এ কে এম মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের রাইচৌ এলাকার মো. কবির হোসেন, একই উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা, জেলার বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বর্তমানে শহরতলির ধর্মপুর এলাকার ভাড়ায় থাকা মিজানুর রহমানের ছেলে আরিফুল ইসলাম, জেলার বুড়িচং উপজেলার বানতি গ্রামের জাহিদুল হাসান এবং দেবীদ্বার উপজেলার চাপানগর এলাকার পিয়াল চন্দ্র সাহা।

ওসি মহিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কিছু লোক রোববার রাতে হঠাৎ শাসনগাছা এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করেন। ঝটিকা মিছিলের পরপরই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেলে করে চারদিকে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায় রাতভর অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি মিছিলকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আটজনের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে আগের মামলা রয়েছে। সোমবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় তাঁদের কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল র এল ক য় এল ক র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা

সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল‌্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’ 

জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই ‍আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব‌্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।

সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।

তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"

"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ