১০০০ গোল? নাকি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা? ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অপেক্ষাটা কিসের? বয়স তো চল্লিশ পেরিয়ে গেল! উত্তর খুঁজতে গিয়ে চুল-দাড়ি পেকে গেল অনেকের। আর সেটা জানে নাকি একটা বাচ্চা ছেলে, আগামী জুনে যে পনেরো ছোঁবে।

ঝামেলা হলো, সে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বড় ছেলে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জুনিয়র। বাবার ব্যক্তিগত ইচ্ছা কী সে হয়তো জানে না, তবে এটা জানে, বাবা একটু সময় দেবেই। এর মধ্যেই তাকে তৈরি হয়ে উঠতে হবে। অর্থাৎ বাবার অবসর নেওয়ার এখনো দেরি আছে। ঠিক কতটা, সেটা সে হয়তো জানে না, আন্দাজ করতে পারে। দুই বছর?

ষোলো-সতেরোর ভেতর সে মূল দলে চলে এলেই বাবার অপেক্ষার অবসান। বাবা কেন বুট তুলে রাখে না, সেটা জুনিয়রের তাই ভালোই জানা। আসল কথা হলো, অবসর নেওয়ার আগে তার বাবা তার সঙ্গে খেলতে চান। গত মাসেই কথাটা বলেছেন ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘ক্যানাল১১’কে, ‘আমি এটা চাই। এমন না যে এটার জন্য রাতে ঘুম হয় না, কিন্তু হলে ভালো হতো।’

জুনিয়র জানে, ফুটবলের তাবৎ উঁচু উঁচু স্বপ্ন ধরাশায়ী করলেও এই স্বপ্ন তার বাবা চাইলেই পূরণ করতে পারবেন না। বাবা তো আর আল নাসর অনূর্ধ্ব-১৫ দলের সঙ্গে মাঠে নামতে পারবেন না! যা করার তাকেই করতে হবে। আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে উঠে আসতে হবে আল নাসরের মূল দলে। সর্বোচ্চ ৩ বছর? তখন হয়তো সম্ভব।

আরও পড়ুনরোনালদোর ছেলের জন্য পাঁচ দেশের দরজা খোলা ২৮ মার্চ ২০২৫

এর মধ্যে আসল কাজটা করতে হবে তাকে। বাবা সেটাও সেই ফরাসি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘দেখা যাক। ব্যাপারটা আমার চেয়ে তার (জুনিয়র) ওপর বেশি নির্ভর করছে।’
বাবার জায়গা থেকে দেখলে জুনিয়রের কাঁধে অনেক দায়িত্ব। কিন্তু বাবা আগেই বলে দিয়েছেন সবাইকে, ক্রিসের ‘যেটা ভালো লাগে করবে। আমি হবো গর্বিত বাবা।’

ফুটবলটা যে তার ভালো লাগে না, তা নয়। অবশ্যই ভালো লাগে। আর লোকেও বলে, বাপ কা বেটা; খেলার ধরন ও ধার দেখে। ২০১৯ সালে সংবাদমাধ্যমে বের হয়েছিল, জুভেন্টাসের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে ২৮ ম্যাচে ৫৮ গোল করেছে। আসলে বাবার খেলার জায়গাগুলোই জুনিয়রের ফুটবল পাঠশালা। রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একাডেমি পেরিয়ে এখন আল নাসরের বয়সভিত্তিক দলে। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৩ দলকে সৌদি প্রিমিয়ার লিগ জিতিয়ে এখন অনূর্ধ্ব-১৫ দলে বাবার মতোই ৭ নম্বর জার্সির খেলোয়াড়।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও তাঁর বড় ছেলে ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়র.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে শিক্ষক ও অফিস সহায়ককে বিদায়

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে স্কুল শিক্ষক ও অফিস সহায়ককে বিদায় জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সিনিয়র শিক্ষক আজিবর রহমান ও অফিস সহায়ক মশিয়ার রহমানকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়।

বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে বিদ্যালয়ের হলরুমে স্মৃতিচারণামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. দেদারুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন আলম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা, সিনিয়র শিক্ষক রুহুল আমিন প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৩৬ দিনেও স্কুলছাত্রী উদ্ধার হয়নি

স্কুল ভবনে ক্লাস চলাকালে বিধ্বস্ত হয় প্রশিক্ষণ বিমান

আয়োজকরা জানান, দীর্ঘদিন শিক্ষক আজিবর রহমান ও অফিস সহায়ক মশিয়ার রহমান এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। সম্প্রতি তারা অবসরে গেছেন। তাদের বিদায় সংবর্ধনা স্মরণীয় করে রাখতে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায় জানানো হয়েছে। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষক আজিবর রহমান বলেন, ‘‘দীর্ঘ ২১ বছর এই বিদ্যালয়ে চাকরি করেছি। চলার পথে কোনো ভুল-ত্রুটি হলে সবাই ক্ষমা করবেন। চাকরি জীবন শেষে এমন সংবর্ধনা পাব কল্পনাও করিনি। এ জন্য আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’’ এ সময় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা বলেন, ‘‘চাকরি জীবনে সবাইকেই অবসর নিতে হবে। আজ আমরা ইংরেজি শিক্ষক আজিবর রহমান ও অফিস সহায়ক মশিয়ার রহমানকে বিদায় জানিয়েছি। এটা কষ্টের হলেও সবাইকে মেনে নিতে হবে। বিদায়ের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে তাদের দুজনকে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায় জানানো হয়েছে।’’

ঢাকা/সোহাগ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে শিক্ষক ও অফিস সহায়ককে বিদায়