দুর্নীতির নিউজ করায় সাংবাদিককে তলব, সিআরইউ`র নিন্দা
Published: 22nd, April 2025 GMT
ঢাকার বিচারিক আদালতের হাজতখানায় পুলিশের ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে 'ঘুষ ওপেন সিক্রেট' শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক মহিউদ্দিন খান রিফাতকে বাংলাদেশ পুলিশ থেকে জারি করা একটি চিঠির মাধ্যমে তলব করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ)।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লিটন মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক মামুন খান এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কোর্ট অঙ্গণের পেশাদার সংগঠন সিআরইউ-এর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মহিউদ্দিন খান রিফাতকে গত ৮ এপ্রিল তারিখে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, "সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।' মহিউদ্দিন রিফাতকে একজন পুলিশ কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড গভীরভাবে উদ্বেগজনক এবং অগ্রহণযোগ্য। যেকোনো গণতান্ত্রিক সমাজে, সাংবাদিক এবং তাদের নিউজ সোর্স জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সুরক্ষিত।
আরো বলা হয়, সংবাদে যদি কোনো ভুল বা আপত্তিকর কিছু থাকে, তাহলে নিয়ম মেনে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদলিপির বিধান রয়েছে। তবে সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তলব করে ভয় দেখানো ফ্যাসিস্ট সরকারের পুলিশের লক্ষণ। নতুন বাংলাদেশে এটি কোনোভাবে কাম্য নয়।
সিআরইউ জানায়, সংবাদমাধ্যমে ওপর হস্তক্ষেপ করা তথা সাংবাদিক হেনস্তার পুরনো এই হয়রানির আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে এই অপেশাদার আচরণের তদন্ত করার এবং বাংলাদেশে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
আদালতের হাজতখানায় আসামির সঙ্গে দেখা, খাবার বা কোনো জিনিস দেওয়া, জামিনসহ বিভিন্ন কাজে পুলিশকে ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
ঢাকা/এম/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমনের জানাজা অনুষ্ঠিত
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য ও দৈনিক বাংলাভূমি পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সাঈদুর রহমান রিমন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার (৩০ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় পেশাগত কাজে এসে দুপুর ১১টার দিকে তিনি বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন।প্রথমে তাকে পাশের একটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও পরে গাজীপুর শহীদ তাহউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দুপুর ২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আরো পড়ুন:
অনুমতি ছাড়া কাউন্সিলে নাম, প্রত্যাহার চেয়ে ক্ষোভ নূরুল কবীরের
সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে বললেন ‘ভুল করিনি, মাথা গরম ছিল’
বুধবার বাদ জোহর ডিআরইউ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে ফুলেল শ্রদ্ধায় তাকে শেষ বিদায় জানানো হয়। ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের নেতৃত্বে সাঈদুর রহমান রিমনের কফিনে শ্রদ্ধা অর্পণ করে কার্যনির্বাহী কমিটি।
এর আগে সাঈদুর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। বক্তব্য রাখেন ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উমর ফারুক আলহাদী ও সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ।
এ সময় ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা, কার্যনির্বাহী সদস্য আকতারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাঈদুর রহমান রিমনের মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল গভীর শোক প্রকাশ করেন। ডিআরইউ নেতারা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
তিনি গাজীপুরের দৈনিক বাংলাভূমি পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।এর আগে দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ প্রতিদিনের ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং সেলের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। দীর্ঘ সাংবাদিকতা ক্যারিয়ারে বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলানিউজ, সংবাদ, মানবজমিন, মুক্তকণ্ঠ, বাংলাবাজার পত্রিকা ও দৈনিক ইত্তেফাকে কাজ করেছেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অনন্য প্রতিভার অধিকারী তিনি ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিংসহ অনেক পুরস্কার লাভ করেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি