ঢাকার বিচারিক আদালতের হাজতখানায় পুলিশের ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে 'ঘুষ ওপেন সিক্রেট' শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক মহিউদ্দিন খান রিফাতকে বাংলাদেশ পুলিশ থেকে জারি করা একটি চিঠির মাধ্যমে তলব করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ)।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লিটন মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক মামুন খান এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, কোর্ট অঙ্গণের পেশাদার সংগঠন সিআরইউ-এর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মহিউদ্দিন খান রিফাতকে গত ৮ এপ্রিল তারিখে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, "সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।' মহিউদ্দিন রিফাতকে একজন পুলিশ কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড গভীরভাবে উদ্বেগজনক এবং অগ্রহণযোগ্য। যেকোনো গণতান্ত্রিক সমাজে, সাংবাদিক এবং তাদের নিউজ সোর্স জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সুরক্ষিত।

আরো বলা হয়, সংবাদে যদি কোনো ভুল বা আপত্তিকর কিছু থাকে, তাহলে নিয়ম মেনে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদলিপির বিধান রয়েছে। তবে সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তলব করে ভয় দেখানো ফ্যাসিস্ট সরকারের পুলিশের লক্ষণ। নতুন বাংলাদেশে এটি কোনোভাবে কাম্য নয়।

সিআরইউ জানায়, সংবাদমাধ্যমে ওপর হস্তক্ষেপ করা তথা সাংবাদিক হেনস্তার পুরনো এই হয়রানির আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে এই অপেশাদার আচরণের তদন্ত করার এবং বাংলাদেশে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

আদালতের হাজতখানায় আসামির সঙ্গে দেখা, খাবার বা কোনো জিনিস দেওয়া, জামিনসহ বিভিন্ন কাজে পুলিশকে ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।

ঢাকা/এম/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স আরইউ

এছাড়াও পড়ুন:

শিশুদের হাতে মোবাইল না দিতে বাসস চেয়ারম্যানের অনুরোধ

শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে না দিতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ করেন।

বাসস চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তির কারণে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা মেধাহীন হয়ে যাচ্ছে। শিশুদের মোবাইল ফোন না দিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখলে তাদের মেধার বিকাশ ঘটবে।’’

তিনি বলেন, ‘‘শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের যদি মেধাবী করে গড়ে তোলা হয়, তাহলে আগামী দিনের বাংলাদেশে সেই সুফল ভোগ করা যাবে।’’

ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি গাযী আনোয়ার হোসেন ও সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী।

ডিআরইউর সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারীবিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির), আকতারুজ্জামান, আমিনুল হক ভূঁইয়া, মো. সলিম উল্ল্যা (এস ইউ সেলিম)-সহ ডিআরইউ সদস্যরা।

প্রতি বছরের মতো এবারো ডিআরইউ শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ডিআরইউর শফিকুল কবির মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ উৎসব চলে। এতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সংগঠনের সদস্যদের শতাধিক সন্তান অংশ নেয়। চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও আবৃত্তিতে ক, খ, গ বিভাগে ২৭ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

এবারের প্রতিযোগিতায় চিত্রাঙ্কনে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র আর্টিস্ট অভিজিৎ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক কামাল উদ্দিন ও চিত্রশিল্পী শায়লা আক্তার। সংগীতে বিচারক ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. অণিমা রায় এবং বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক আলম মাহমুদ। আবৃত্তি বিভাগে বিচারক ছিলেন আবৃত্তিকার রেজিনা ওয়ালী লীনা, ফয়জুল আলম পাপ্পু ও শিশু একাডেমির আবৃত্তির প্রশিক্ষক রূপশ্রী চক্রবর্তী।

প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলো- চিত্রাঙ্কন ক বিভাগে প্রথম হোসেন রিজভান রাউসিফ, দ্বিতীয় আরাবি আল আবিদ, তৃতীয় ফাতেমা তাছনিম, খ বিভাগে প্রথম হয়েছে হোসেন রাজভীন রাউনাফ, দ্বিতীয় মেহজুবা ইবনাত সিমলা, তৃতীয় সানদিহা জাহান দিবা, গ বিভাগে প্রথম হয়েছে জাওয়াদ খান, দ্বিতীয় মারজুকা জয়নব, তৃতীয় অদ্বিতীয়া পূণ্য। 

সঙ্গীত ক বিভাগে প্রথম হয়েছে, মুয়ান্তিরা রহমান সানাইয়া, দ্বিতীয় জাওয়াদ ইনাম সানান, তৃতীয় অরুন্ধতী কর গল্প, খ বিভাগে প্রথম তাসনুভা মাহরিন তানিশা, দ্বিতীয় আরাত্রিকা দাস বৃদ্ধি, তৃতীয় ওয়াজিহা মাহবুব শাইরা, গ বিভাগে প্রথম জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি, দ্বিতীয় রাদিতা জাহান নুভা, তৃতীয় মাকসুদা রুকাইয়া। 

আবৃত্তি ক বিভাগে প্রথম অরুন্ধতী কর গল্প, দ্বিতীয় তাহসিন হক আনিকা, তৃতীয় সুহায়লা জাইমা। খ বিভাগে প্রথম সানদিয়া জাহান দিবা, হোসেন রাজভীন রাউনাফ, আইনুন নাহার আকসা। গ বিভাগে প্রথম জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি, দ্বিতীয় আনান মুস্তাফিজ, তৃতীয় মারজুকা জয়নব।

ঢাকা/এএএম/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিশুদের হাতে মোবাইল না দিতে বাসস চেয়ারম্যানের অনুরোধ