গাজীপুরের আদালতে দীপু মনি-পলকসহ ৬ জন
Published: 22nd, April 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যার অভিযোগে গাজীপুরে করা তিনটি মামলায় সাবেক মন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি, অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম, সাধন চন্দ্র মজুমদার ও প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ছয়জনকে আদালতে হাজির করা হয়।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ হাজির করা হয় তাদের। বিচারক মো.
অন্য দুই আসামি হলেন- এনটিএমসি প্রধান জিয়াউল আহসান ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মজুমদার।
আরো পড়ুন:
অঝোরে কাঁদছেন পারভেজের মা
পারভেজ হত্যা: দোষীদের গ্রেপ্তার-বিচার দাবিতে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ
গাজীপুর মহানগর কোট পরিদর্শক আসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, “গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার তিনটি হত্যা মামলায় উল্লেখিত আসামিদের গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ হাজির করা হয়। তাদের তিনটি হত্যা মামলা গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। বিচারক মো. ওমর হায়দার গ্রেপ্তারের আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে আসামিদের ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।”
এদিকে, আজ সকাল থেকেই আদালত পাড়ার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আসামিদের দুইটি প্রিজন ভ্যানে ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। আসামিদের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পড়িয়ে পুলিশ প্রহরায় আদালতের এজলাসে তোলা হয়। আদালতের কার্যক্রম শেষে আসামিদের পুনরায় কড়া নিরাপত্তায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আসামিদের আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার পরে স্থানীয় বিএনপির সমর্থক আইনজীবীরা আদালত এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন।
গাজীপুর মহানগর কোট পরিদর্শক আসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, “আসামিদের মধ্যে ডাক্তার দীপু মনি, জোনায়েদ আহমেদ পলক ও সাধন চন্দ্র মজুমদারকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং অন্য আসামিদের ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আওয় ম ল গ জ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা সেতুর যানজট এড়াতে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে যানবাহনের চাপ
ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতি পথে যমুনা সেতু-সংলগ্ন মহাসড়কে তীব্র যানজট। তাই অনেকে পাবনার কাজীরহাট ফেরিঘাট দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। কাজীরহাট-আরিচা ফেরিঘাটে ভোগান্তি ছাড়াই যানবাহন পারাপার হচ্ছে। আগের ৪টি ফেরির সঙ্গে আরও ২টি যুক্ত হওয়ায় এই নৌপথে মোট ৬টি ফেরি চলাচল করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) ও বাস কাউন্টারগুলোর সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে যমুনা সেতু-সংলগ্ন সড়কে যানজট শুরু হয়। শুক্র ও গতকাল শনিবার যানজট তীব্রতর হয়। এর মধ্যে শনিবারের যানজটে পাবনা-ঢাকা পথে যাতায়াতকারী অনেক বাস আটকে পড়ে। এতে পাবনা, বেড়াসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টারে ঢাকাগামী বাসের সংকট দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকাগামী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়িগুলো যমুনা সেতুর যানজট এড়াতে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথের ফেরি পারাপার বেছে নেয়। এতে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত কাজীরহাট ফেরিঘাটে ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহনের চাপ আছে।
বিআইডব্লিউটিসির কাজীরহাট ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘আগে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে ৪টি ফেরি চলাচল করত। ঈদ উপলক্ষে এখন আরও ২টি ফেরি বাড়িয়ে মোট ৬টি ফেরি করা হয়েছে। এগুলো হলো ২টি রো রো ফেরি শাহ আলী ও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এবং ৪টি সেমি রো রো ফেরি বাইগার, গৌরী, চিত্রা ও ধানসিঁড়ি। এই ৬টি ফেরি দিয়ে নির্বিঘ্নে যানবাহনের চাপ সামলানো যাচ্ছে। বাসসহ যানবাহনগুলোকে ফেরিঘাটে বেশি দেরি করতে হচ্ছে না।’
কাজীরহাট ফেরিঘাট হয়ে ঢাকামুখী আলহামরা পরিবহনের যাত্রী আবু হানিফ বলেন, ফেরিতে ওঠানামা মিলিয়ে আড়াই ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে। আর আরিচা থেকে ঢাকা পর্যন্ত তেমন যানজট ছিল না। খুব ভালোভাবে ঢাকা পৌঁছাতে পেরেছেন। অথচ আরও দুই ঘণ্টা আগে রওনা দিয়েও তাঁর পরিচিত একটি পরিবারকে যমুনা সেতু-সংলগ্ন সড়কে ৫-৬ ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়।
বিআইডব্লিউটিসির কাজীরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি চাপ ছিল শনিবার। আমাদের বেশ বেগ পোহাতে হলেও যানবাহনগুলো ভালোভাবে পার করে দিয়েছি। শনিবার আমাদের এই ঘাট হয়ে ফেরিতে ১০১টি বাস, ৪০১টি ছোট গাড়ি ও ৮০টি ট্রাক পার হয়েছে। আর আজ রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৫টি বাস, ১৬টি ট্রাক, ৪২টি ছোট গাড়ি ও ২০০টি মোটরসাইকেল পার হয়েছে।’
বেড়া ও ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী আলহামরা পরিবহনের বেড়া শাখার ব্যবস্থাপক বরকত আলী বলেন, ‘যমুনা সেতুর যানজটে আমাদের কয়েকটি বাস এখনো আটকে আছে। এতে নির্ধারিত সময়ে শুধু আমাদের বাসই নয়, অন্য কোম্পানির বাসগুলোও ঢাকার উদ্দেশে ছাড়তে পারছে না। আর কোনো বাস ঢাকা থেকে বেড়া এসে পৌঁছানোর পর সেই বাস এখন থেকে আমরা কাজীরহাট ফেরিঘাট হয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। বতর্মান অবস্থায় এই পথে যাতায়াতে যাত্রীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।’