কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলা, নিহত ৫
Published: 22nd, April 2025 GMT
জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত পাঁচ জন নিহত ও বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় এই হামলা চালানো হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে।
পর্যটকদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। তাতেই বেশ কয়েক জন পর্যটক আহত হয়েছেন। এক জন নিহত হয়েছেন বলে খবর। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেসামরিক নাগরিকদের উপর আমরা যত আক্রমণ দেখেছি তার চেয়ে এই আক্রমণ অনেক বড়।”
জম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নর মনোজ সিনহা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরের আকর্ষণীয় পর্যটনস্থলগুলোর মধ্যে বেশ জনপ্রিয় পহেলগাঁও। প্রতি বছর পহেলগাঁওয়ে প্রচুর পর্যটক বেড়াতে যান।
পুলিশ জানিয়েছে, এক দল পর্যটক ট্রেকিং করছিলেন। সেই দলটিকেই নিশানা করে হামলাকারীরা। তবে তারা সংখ্যায় কত জন ছিল, তা জানা যায়নি।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হামলার পর আশা ও আতঙ্কের মধ্যে পেহেলগামে ধীরে ধীরে ফিরছেন পর্যটকেরা
ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহাড়ি পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামের কাছে এক প্রাণঘাতী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ পর শহরটিতে এখনো থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। অবশ্য সেখানে অল্প অল্প করে পর্যটক ফিরতে শুরু করেছেন।
গত সপ্তাহে শহরের প্রধান মহাসড়ক একেবারে ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। দোকানপাট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, খালি হয়ে গিয়েছিল হোটেলগুলো। এখন সেখানে আবার অল্প অল্প করে প্রাণ ফিরছে।
গত মঙ্গলবার পেহেলগাম থেকে তিন মাইল (৫ কিলোমিটার) দূরে পাহাড়চূড়ার উপত্যকা বৈসারানে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের ওপর গুলি চালায় একদল বন্দুকধারী। এই বৈসারানকে অনেক সময় ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ বলা হয়।
বৈসারানের হামলাকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যা অনেক পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে এবং ভারতজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তান সম্পর্কে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। উভয় দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কাশ্মীরের দুই অংশ দুই দেশ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তরে পুরো অঞ্চলকে দুই দেশই নিজেদের বলে দাবি করে থাকে।
দিল্লি এ হামলার কোনো সামরিক জবাব দেবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।
১৯৮৯ সালে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরুর পর থেকে কাশ্মীরে প্রায়ই হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এসব ঘটনায় কখনো নিরাপত্তা বাহিনী আবার কখনো বেসামরিক নাগরিকদের নিশানা করা হয়েছে। কিন্তু পর্যটকদের এভাবে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনা বিরল এবং তা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের হতবাক ও আতঙ্কিত করেছে।১৯৮৯ সালে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরুর পর থেকে কাশ্মীরে প্রায়ই হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এসব ঘটনায় কখনো নিরাপত্তা বাহিনী আবার কখনো বেসামরিক নাগরিকদের নিশানা করা হয়েছে। কিন্তু পর্যটকদের এভাবে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনা বিরল এবং তা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের হতবাক ও আতঙ্কিত করেছে।
পেহেলগামের মতো এলাকার অর্থনীতি পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। হামলার জেরে সেখানে বহু মানুষের জীবিকা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনকাশ্মীরে ব্যাপক ধরপাকড়, ভাঙা হচ্ছে বাড়ি: ‘আমার ভাই জড়িত থাকলেও পরিবারের অপরাধ কী’১৮ ঘণ্টা আগেহামলার পরদিন (২৩ এপ্রিল) ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা পেহেলগামের বৈসারান এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান