ইডেনে প্রবেশে ‘নিষেধাজ্ঞা’ নিয়ে যা বললেন হার্শা ভোগলে
Published: 22nd, April 2025 GMT
পিচের সমালোচনা করায় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে ও সাইমন ডুলকে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে নিষিদ্ধ করতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) নাকি বেশ কড়া ভাষায় চিঠি পাঠিয়েছিল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি)।
গতকাল রাতে ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স–গুজরাট টাইটানস ম্যাচে ভোগলে ও ডুলকে ধারাভাষ্য দিতে না শুনে অনেকে হয়তো ধরেই নিয়েছিলেন সিএবির চিঠি পেয়ে তাদের অনুরোধ কার্যকর করেছে বিসিসিআই।
খবরটা কানে পৌঁছানোর পর হার্শা ভোগলে নিজেই এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন। তাঁর দাবি, তাঁকে ইডেনে নিষিদ্ধ করা হয়নি। বরং কালকের ম্যাচে ধারাভাষ্যকারদের তালিকায় আগে থেকেই তাঁকে রাখা হয়নি বলেই কলকাতায় যাননি। তবে আরেক ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুল এখনো এ ব্যাপারে কিছু জানাননি।
৬৩ বছর বয়সী ভোগলে আজ সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘গতকাল কলকাতার ম্যাচে আমি কেন ছিলাম না, তা নিয়ে বেমানান কথাবর্তা বলা হচ্ছে। সহজভাবে বলতে গেলে, আমাকে যে ম্যাচগুলোতে থাকতে (ধারাভাষ্য দিতে) বলা হয়েছে, সেই তালিকায় ওই ম্যাচ ছিল না। এ ব্যাপারে আমাকে জিজ্ঞেস করলেই কোনো ধরনের ভুল–বোঝাবুঝি হতো না। কারা কোন ম্যাচে ধারাভাষ্য দেবেন, সেই তালিকা টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই তৈরি করা হয়। (আইপিএলের এবারের মৌসুমে) কলকাতায় আমাকে দুটি ম্যাচে তালিকায় আমাকে রাখা হয়েছিল। প্রথমটিতে আমি সেখানে ছিলাম। কিন্তু পরিবারের একজনের অসুস্থতার কারণে দ্বিতীয়টিতে থাকতে পারিনি।’
ভোগলে–ডুলের সঙ্গে সিএবির দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয় গত ২২ মার্চ ইডেনে আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচের পর। প্রথম ম্যাচেই বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে ৭ উইকেটে হেরে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স। নিজেদের মাঠে খেলেও পিচ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা না পাওয়ায় সমালোচনা করেছিলেন ভোগলে ও ডুল। এ নিয়ে ইডেনের পিচ কিউরেটর সুজন মুখার্জীর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান এই দুই ধারাভাষ্যকার।
পরে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভোগলে বলেন, ‘আমি কেকেআরের ক্যাম্পে থাকলে তিনি (সুজন মুখার্জী) যা বলেছেন, সে জন্য প্রচণ্ড অখুশি হতাম। কারণ, আমি ১২০ রানের পিচ চাচ্ছি না। আমার চাওয়া এমন পিচ দেওয়া হোক, যেখানে স্বাগতিক দলের বোলাররা ম্যাচ জেতাতে পারে।’
ডুল বলেন, ‘ঘরের দল যেটা চায়, সেটা তিনি (সুজন মুখার্জী) না শুনলে.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কলক ত
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে বিএনপিতে যোগ দিলেন কোচ ও বংশী জাতিগোষ্ঠীর দুই শতাধিক সদস্য
গাজীপুরে কোচ ও বংশী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর দুই শতাধিক সদস্য বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার নৌলাপাড়া এলাকার জেসন গেট মাঠে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে তাঁদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।
কোচ ও বংশী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এসব সদস্যকে বিএনপিতে বরণ করে নেন দলটির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর, গাজীপুর সদর উপজেলার একাংশ ও সেনানিবাস এলাকা) আসনের দলীয় প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। তিনি অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি ছিলেন।
ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এসব সদস্যকে স্বাগত জানিয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী সরকারের হাতেই তাঁরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল, যেখানে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই নিরাপদে থাকতে পারে।
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সব সময়ই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করেছেন। আগামীর নেতা তারেক রহমানও তাঁদের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। তাঁর ঘোষিত ৩১ দফায় আদিবাসীদের দাবিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিএনপিতে যোগ দিয়ে কোচ ও বংশী জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা নিজেদের ভূমি ও বাসস্থান নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছেন। এসব সমস্যার সমাধানে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তাঁরা।