কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক লেনদেনকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে নুরুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার ভাই ও বন্ধু। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত নুরুল ইসলাম উখিয়ার ২/ই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের বাসিন্দা। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরিফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্প সংলগ্ন আমগাছতলা এলাকায় মাদক বিক্রির জের ধরে রোহিঙ্গা মুদি দোকানি সালেহ নুরুল ইসলামকে ডেকে নেন। সেখানে সালেহর সঙ্গে থাকা রোহিঙ্গা নুরুল আজিম (৩০), সৈয়দুল আমিন ওরফে কালা সোনা মিয়া (৪০), মো.

সাদেক (২০) ও মো. কায়সার (১৯) ধারালো অস্ত্র দিয়ে নুরুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে। আহত অবস্থায় নুরুল ইসলামকে উদ্ধার করতে গেলে তার বড় ভাই রিদুয়ান (২৭) ও বন্ধু ফারুক (২২) হামলাকারীদের দ্বারা আক্রান্ত হন। আহত তিনজনকে দ্রুত কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নুরুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভোরে মারা যায়। রিদুয়ান ও ফারুককে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে অটোরিকশার ধাক্কা, নিহত ১

‘মুণ্ডুবিহীন লাশের পাশে পড়ে ছিল দুজন, পানি চাইলেও খাওয়ানোর আগে মৃত্যু’

ওসি আরিফ হোসেন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে সৈয়দুল আমিন ওরফে কালা সোনা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা/তারেকুর/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত ন র ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ