নারী কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহার দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের
Published: 23rd, April 2025 GMT
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রীরা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে সাধারণ ছাত্রীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা কমিশনের সুপরিশকে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, যৌন পেশাকে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। যা নারী সমাজের জন্য চরম অবমাননাকর। ইসলামে নারীদের অধিকার কোনো অংশেই কম দেওয়া হয়নি, বরং আরো সম্মানিত করেছে। এ শাহাজালালের ভূমি থেকে আমরা কখনই এসব অযৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন হতে দেব না।
আরো পড়ুন:
রাসূল (সা.
ইবি নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাতিলের দাবি
একাত্মতা পোষণ করে বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা অধ্যাপক ড. খোন্দকার আরিফা আক্তার বলেন, “কমিশনে যারা বসে আছে, তারা বেশিরভাগই পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত এনজিও কর্মী। বৃহত্তর নারী সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে, এমন নারীদের নিয়ে নতুন কমিশন গঠন করে তারপর সংস্কারের প্রস্তাব আনা দরকার।”
তিনি আরো বলেন, “কতিপয় সুপারিশ কোরআন এবং হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। পাশাপাশি সব ধর্মের মূল্যবোধকে অপমান করেছে। বাংলাদেশের জনগণ এক বাক্যে তা প্রত্যাখ্যান করছে। বর্তমান কমিশন ভেঙ্গে সংস্কারপূর্বক নতুন করে কমিশন গঠন করা হোক।”
গত ১৮ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার বেসরকারি সংস্থা ‘নারীপক্ষ’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরীন পারভীন হককে প্রধান করে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিটি সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৪৩৩টি সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেয়।
কমিশন মোটা দাগে সংবিধান, আইন ও নারীর অধিকার— এ তিন বিষয়ে সুপারিশ করেছে, যেখানে সমতা ও সুরক্ষার ভিত্তি জোরালো করার কথা বলা হয়েছে।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।