কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, ভাইরালের হুমকি ছাত্রলীগ নেতার
Published: 24th, April 2025 GMT
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় রকিউজ্জামান রকি নামে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ঘটনার ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণেরও অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা রকিকে নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।
রকি দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাংগা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। মামলায় রকির বন্ধু মামুনসহ কয়েকজন বন্ধুকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণ ও পুলিশ সূত্র জানায়, রকির সঙ্গে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত বছরের ২৩ অক্টোবর কম্পিউটার শেখানোর কথা বলে কৌশলে তাকে দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরের একটি ভবনের কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে রকি। একই সঙ্গে তার বন্ধু মামুন গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে একাধিক ধর্ষণসহ টাকা দাবি করা হয়। এছাড়াও ওই ছাত্রীর নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি খোলা হয়। সেই আইডিতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি আপলোড করা হয়। এরপর গত ১০ এপ্রিল রকি তাকে আবারও শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় রকি তার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি ওই ছাত্রী পরিবারকে জানায়। প্রথমে তার পরিবার ঘটনাটি শালডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা ফরিদুল ইসলামকে জানায়। চেয়ারম্যান রকির বাবাকে বিষয়টি জানিয়ে ছেলেকে সতর্ক করার কথা বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষণের ভিডিও ও ছবি পোস্ট করে।
দেবীগঞ্জ থানার (ওসি) সোয়েল রানা বলেন, মেয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে রকিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিওসহ ছবি পাওয়া গেছে। তাকে জেলহাজতে পাঠানোসহ রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রিমান্ড আবেদনের শুনানির হওয়ার কথা রয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দলের প্রতি অনুগত থাকার অঙ্গীকার, জামায়াতে যোগ দিলেন মেজর (অব.) আ
বিএনপির সাবেক নেতা, সাবেক এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি জামায়াতে যোগ দেন।
মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দলটির অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দলটিতে যোগ দিয়ে তিনি ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ, দেশের স্বার্থ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবশিষ্ট জীবন অতিবাহিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিয়ম-নীতি, আদর্শ, দলীয় শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের প্রতি সর্বদা অনুগত থাকার অঙ্গীকার করেন।
ডা. শফিকুর রহমান এ সময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন এবং তার দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করেন।
যোগদান অনুষ্ঠানে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ রাজনীতিক। বিএনপিতে থাকা অবস্থায় দলটির বিরুদ্ধে মন্তব্য করাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি আলোচিত হন।
বিএনপি থেকে দুইবার কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//