ভারতের দক্ষিণী সিনেমার তারকা অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। শরীরি সৌন্দর্য কিংবা নাচের হিল্লোল— নানাভাবে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। কখনো কাজের জন্য কখনো ব্যক্তিগত কারণে সমালোচিত হয়েছেন। কিছুদিন আগে বিজয় ভার্মার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ভাঙার পর তাকে নিয়ে আলোচনা কম হয়নি।

ট্রল কিংবা সমালোচনা কীভাবে গ্রহণ করেন তামান্না ভাটিয়া? ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ‘বাহুবলি’ তারকা।  

তামান্না ভাটিয়া বলেন, “কোনটা গঠনমূলক সমালোচনা, তা আমি এই জার্নি থেকে শিখেছি। কারণ এটা সবসময়ই থাকে। এমনকি কিছু মতামতও নিশ্চিতভাবে গ্রহণ করি, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন নয়। আমি বলতে পারি, এটা ট্রল নাকি উপকারী কিছু। এটি পছন্দ হোক আর না হোক, এক চিমটি লবণ মাখিয়ে তা গ্রহণ করি।”

তামান্না অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ওডেলা টু’। গত ১৭ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে অশোক তেজা নির্মিত এই সিনেমা। মুক্তির পর দর্শক-সমালোচকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া পাঁচে আড়াই রেটিং দিয়েছে।

গত বছর বক্স অফিস কাঁপানো অন্যতম বলিউড সিনেমা ‘স্ত্রী টু’। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটি আয় করে ৮৫৭ কোটি রুপির বেশি। বক্স অফিস ছাড়াও এ সিনেমার ‘আজ কি রাত’ শিরোনামের আইটেম গান দর্শক হৃদয়ে ঝড় তুলেছিল। এতে পারফর্ম করেন তামান্না ভাটিয়া। তার সঙ্গী ছিলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি ও রাজকুমার রাও। ইউটিউবে মুক্তির পর বৈশ্বিকভাবে ট্রেন্ডিংয়ের দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। এ গানে ‘মিল্কি বিউটি’ তামান্নার নাচে বুঁদ হয়েছিলেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। মুক্তির পর এতদিন কেটে গেলেও এখনো দর্শকদের মোহ কাটেনি।

এরই মধ্যে ‘রেইড টু’ সিনেমার ‘নাশা’ শিরোনামের আইটেম গানে কোমর দুলিয়েছেন তামান্না। কিছু দিন আগে টি-সিরিজের ইউটিউব চ্যানেলে গানটি মুক্তির পর সাড়া ফেলে। এ গানে পারফর্ম করেও প্রশংসা কুড়াচ্ছেন এই অভিনেত্রী। অজয় দেবগনকে নিয়ে পরিচালক রাজ কুমার গুপ্তা নির্মাণ করছেন ‘রেইড টু’। সবকিছু ঠিক থাকলে ১ মে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

বর্তমানে তামান্নার হাতে হিন্দি ভাষার তিনটি সিনেমার কাজ রয়েছে। এগুলো হলো— রেঞ্জার, নো এন্ট্রি ম্যায়নে এন্ট্রি। তাছাড়া রাকেশ মারিয়ার বায়োপিকে অভিনয় করছেন এই অভিনেত্রী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ক ত র পর

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ