কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ডস ফর ফিউচার আর্কিটেক্টস পাচ্ছেন তিন তরুণ
Published: 24th, April 2025 GMT
‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ডস ফর ফিউচার আর্কিটেক্টস: বেস্ট আন্ডারগ্র্যাজুয়েট থিসিস’ (২০২৩-২৪) পাচ্ছেন তিনজন মেধাবী ও তরুণ ভবিষ্যৎ স্থপতি। ২৬ এপ্রিল বিজয়ীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ (আইএবি) সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত শিল্পপ্রতিষ্ঠান কেএসআরএম ও আইএবির যৌথ উদ্যোগে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
আয়োজকেরা জানান, ষষ্ঠবারের মতো এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এবার দেশের ১৫টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ৪৪টি থিসিস প্রকল্প জমা পড়ে। এগুলো থেকে বিজয়ী তিনটি থিসিস প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হবে। প্রথম পুরস্কার হিসেবে থাকছে এক লাখ টাকার চেক। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে থাকছে যথাক্রমে ৭৫ হাজার ও ৫০ হাজার টাকার চেক। প্রত্যেক বিজয়ীর জন্য থাকছে সম্মাননা স্মারক।
ভবিষ্যৎ স্থপতিদের উৎসাহ দিতে কেএসআরএম ও আইবিএ প্রতিবারের মতো এবারও এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান আইএবির সভাপতি আবু সাঈদ এম আহমেদ। তিনি বলেন, এবারের উদ্যোগে তাঁরা ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেছেন। তাঁরা চান, সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যেন আধুনিক স্থাপত্য তৈরি সম্পর্কে নতুন ধারণা পৌঁছায়। সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল যাতে স্থাপত্যকে আরও বেশি পরিবেশবান্ধব করতে উদ্যোগ নেয়।
পরিবেশবান্ধব শহর বিনির্মাণে সব মহলের সঙ্গে কাজ করতে চান বলে উল্লেখ করেন আবু সাঈদ এম আহমেদ। তিনি বলেন, তরুণদের এসব প্রকল্প আগামীর বাংলাদেশ গড়ার পথ দেখাবে। তাঁরা অসাধারণ সব প্রকল্প জমা দিয়েছে। আগামীর বাংলাদেশকে তাঁরা কোথায় দেখতে চান, তা এসব প্রকল্পে দেখা যাবে।
শুধু বিশ্বমানের অবকাঠামো নির্মাণই নয়, কেএসআরএম স্বপ্ন নির্মাণের দায়িত্বও পালন করছে বলে উল্লেখ করেন ইস্পাত শিল্পপ্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক আশফাকুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্থাপত্য কেবল একটি পেশা নয়, এটি একটি দৃষ্টিভঙ্গি, একটি ভাষা, যার মাধ্যমে নগর ও সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পায়।
এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি), নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, লিডিং বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের মার্কেট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের মহাব্যবস্থাপক আশফাকুল ইসলাম, আইএবির সহসাধারণ সম্পাদক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট ক এসআরএম প রস ক র প রকল প সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।
ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন।
ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।
ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”
প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।
মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”
মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের অভিযান সমর্থন করেছিলেন।
গ্যালাপের মতে, পরিচয় প্রকাশ করে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ