লা লিগায় বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে গেতাফের বিপক্ষে জয় পেলেও সামনে কোপা দেল রের ফাইনালের আগে বড় এক সংকটে পড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনার বিপক্ষে মর্যাদার লড়াইয়ের আগে চোটে পড়েছেন ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবা এবং মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। যা ম্যাচটির আগে কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে ফেলেছে বড় দুশ্চিন্তায়।

গেতাফের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পেলেও ম্যাচটি সুখকর হয়নি রিয়ালের জন্য। ম্যাচ চলাকালিন আলাবা বাঁ পায়ের পেশিতে চোট পেয়ে প্রথমার্ধেই মাঠ ছাড়েন। তার বদলি হিসেবে নামা কামাভিঙ্গাও দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ে কুঁচকির ইনজুরিতে পড়েন।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’র তথ্য অনুযায়ী, কামাভিঙ্গা প্রাথমিকভাবে খেলা চালিয়ে যেতে চাইলেও ব্যথা এতটাই তীব্র ছিল যে তাকে বাধ্য হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তখন রিয়ালের সব বদলি খেলোয়াড় ব্যবহৃত হয়ে যাওয়ায় ম্যাচের শেষ সময় তারা একজন কম নিয়ে খেলতে বাধ্য হয়।

আরো পড়ুন:

বার্সার সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমাল রিয়াল

লরিয়াস পুরষ্কার জিতেছে ইয়ামাল ও রিয়াল মাদ্রিদ

চোটের কারণে আলাবার অনুপস্থিতি এবং মেন্ডির খারাপ ফর্ম —এই দুই মিলে আনচেলত্তির রক্ষণভাগ গঠনে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন লেফটব্যাক হিসেবে হয়তো ফ্রান গার্সিয়াকে মাঠে নামাতে হতে পারে। যিনি মূল একাদশে জায়গা পেলে তাকে সামলাতে হবে বার্সার তরুণ ফরোয়ার্ড লামিনে ইয়ামালকে—যিনি এখন দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন।

চলতি মৌসুমে ইতিমধ্যেই এল ক্লাসিকোতে দুইবার হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তাই ফাইনালে নামার আগে দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের ইনজুরি রিয়ালের আত্মবিশ্বাসে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। আনচেলত্তির কৌশলে পরিবর্তন আসবে কিনা, তা এখন সময়ই বলবে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ