কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আঙিনা থেকে একটি নবজাতকের রক্তমাখা মরদেহ পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, নবজাতকটি ‘প্রিম্যাচিউর’। ধারণা করা হচ্ছে, হাসপাতালে কর্মরত কোনো নার্স বা কারও মাধ্যমে কেউ গর্ভপাত করে নবজাতকটিকে হাসপাতালের বারান্দার গ্রিল দিয়ে নিচে ফেলে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের প্রহরী মজিবুর রহমান হাসপাতালের দেয়াল ঘেঁষে নবজাতকটিকে পড়ে থাকতে দেখে কর্তৃপক্ষকে জানান। খবর পেয়ে চান্দিনা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ মাটিতে পুঁতে দেওয়ার পরামর্শ দেন। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

জাবেদ উল ইসলাম।

ওসি জাবেদ উল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ‘প্রিম্যাচিউর’ অবস্থায় নবজাতকটি গর্ভপাত করা। এ জন্য মরদেহ থানায় আনা হয়নি। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট থাকায় কে বা কারা নবজাতকটিকে ফেলেছে, নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রত্যক্ষদর্শী মজিবুর রহমান জানান, তিনি রাতে হাসপাতাল পাহারা দেন। সকালে ডিউটি শেষে বারান্দা দিয়ে বের হওয়ার সময় গ্রিলের ফাঁক দিয়ে রক্তমাখা নবজাতকের মরদেহ দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে তিনি বাসায় চলে যান। হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী পূর্ণিমা বলেন, ‘আরএমও (আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা) স্যার আমাকে নির্দেশ দিলে আমি নবজাতকটিকে একটি কার্টনে ভরে নিয়ে আসি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা হাসপাতালে এসে সবকিছুর খোঁজখবর নেয়। শিশুটি মাতৃগর্ভে অনুমান ৩০ সপ্তাহ পূর্ণ হলেও ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্ণতা পায়নি। তাই পুলিশ সদ্যোজাত শিশুটির মরদেহ থানায় না নিয়ে আমাদের মাটিচাপা দেওয়ার পরামর্শ দিলে দুপুরে আমরা হাসপাতালের বাগানে মাটিচাপা দিয়েছি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, ঘটনার পর তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, এ ধরনের কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। ধারণা করা যাচ্ছে, বাইরের কোনো ঘটনার পর হাসপাতালের আঙিনায় প্রিম্যাচিউর নবজাতকটি কেউ ফেলে গেছেন। তবে তাঁরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছেন। হাসপাতালের কেউ জড়িত থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নবজ তকট ক মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

দলের প্রতি অনুগত থাকার অঙ্গীকার, জামায়াতে যোগ দি‌লেন মেজর (অব.) আ

বিএনপির সা‌বেক নেতা, সাবেক এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলা‌দেশ জামায়াতে ইসলামী‌তে যোগদান ক‌রে‌ছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে দ‌লের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ ক‌রার মধ‌্য দি‌য়ে আনুষ্ঠা‌নিকভা‌বে তিনি জামায়া‌তে যোগ দেন। 

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দলটির অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। 

দল‌টি‌তে যোগ‌ দি‌য়ে তিনি ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ, দেশের স্বার্থ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবশিষ্ট জীবন অতিবাহিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিয়ম-নীতি, আদর্শ, দলীয় শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের প্রতি সর্বদা অনুগত থাকার অঙ্গীকার করেন।

ডা. শফিকুর রহমান এ সময় তাকে ফুল দি‌য়ে বরণ ক‌রেন এবং তার দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করেন।

যোগদান অনুষ্ঠানে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ রাজনীতিক। বিএন‌পিতে থাকা অবস্থায় দলটির বিরু‌দ্ধে মন্তব‌্য করাসহ নানা ‌বিত‌র্কিত কর্মকা‌ণ্ডের জন‌্য তিনি আলোচিত হন।  

বিএনপি থেকে দুইবার কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন// 

সম্পর্কিত নিবন্ধ