অপহৃত ৩ শ্রীলঙ্কার নাগরিককে উদ্ধার, আটক ৪
Published: 25th, April 2025 GMT
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে অপহৃত শ্রীলঙ্কার তিন নাগরিককে বাগেরহাট থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ৪ জনকে আটক করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি ও উদ্ধারের বর্ণনা দেন খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি রেজাউল হক।
তিনি জানান, শ্রীলঙ্কার নাগরিক মালাভি পাথিরানা, পাথিরানা ও থুতি মুদিইয়ান সেল্যাগ নীল বাগেরহাটের শহিদুল শেখ নামে এক ব্যক্তির ব্যবসায়িক আমন্ত্রণে গত ২২ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন। পরে কাজী এমদাদ হোসেন, শহিদুল শেখ, জনি শেখ, এসএম সামসুল আলম– এই ৪ জন শ্রীলঙ্কায় তাদের পরিবারকে ফোন করে বাংলাদেশের একটি নম্বর থেকে মুক্তিপণ দাবি করেন। আড়াই কোটি টাকা মুক্তিপণ দিতে সম্মত হয় তাদের পরিবার। এর পর শ্রীলঙ্কা থেকে চারটি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা আনার আলোচনা করা হয়।
বিষয়টি শ্রীলঙ্কান হাইকমিশন থেকে বাংলাদেশের হাইকমিশন, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদরদপ্তরকে জানানো হলে উদ্ধার অভিযান শুরু করে পুলিশ।
ডিআইজি জানান, ওই তিনজনকে ঢাকা ও বাগেরহাটের কয়েকটি স্থানে রাখা হয়। বুধবার (২৩ এপ্রিল) গভীর রাতে দক্ষিণ আমবাড়ি গ্রামের এমদাদ কাজীর বাড়ি থেকে শ্রীলঙ্কান নাগরিকদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণে জড়িত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।