ঢাকা বিমানবন্দর থেকে অপহৃত শ্রীলঙ্কার তিন নাগরিককে বাগেরহাট থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ৪ জনকে আটক করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি ও উদ্ধারের বর্ণনা দেন খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি রেজাউল হক। 

তিনি জানান, শ্রীলঙ্কার নাগরিক মালাভি পাথিরানা, পাথিরানা ও থুতি মুদিইয়ান সেল্যাগ নীল বাগেরহাটের শহিদুল শেখ নামে এক ব্যক্তির ব্যবসায়িক আমন্ত্রণে গত ২২ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন। পরে কাজী এমদাদ হোসেন, শহিদুল শেখ, জনি শেখ, এসএম সামসুল আলম– এই ৪ জন শ্রীলঙ্কায় তাদের পরিবারকে ফোন করে বাংলাদেশের একটি নম্বর থেকে মুক্তিপণ দাবি করেন। আড়াই কোটি টাকা মুক্তিপণ দিতে সম্মত হয় তাদের পরিবার। এর পর শ্রীলঙ্কা থেকে চারটি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা আনার আলোচনা করা হয়। 

বিষয়টি শ্রীলঙ্কান হাইকমিশন থেকে বাংলাদেশের হাইকমিশন, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদরদপ্তরকে জানানো হলে উদ্ধার অভিযান শুরু করে পুলিশ। 

ডিআইজি জানান, ওই তিনজনকে ঢাকা ও বাগেরহাটের কয়েকটি স্থানে রাখা হয়। বুধবার (২৩ এপ্রিল) গভীর রাতে দক্ষিণ আমবাড়ি গ্রামের এমদাদ কাজীর বাড়ি থেকে শ্রীলঙ্কান নাগরিকদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণে জড়িত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।

উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।

পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার