জাপানকে ছাড়িয়ে গেছে ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতি। যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও ইউএস ব্যুরো অব ইকোনমিক অ্যানালাইসিসের পরিসংখ্যান তুলে ধরে এ তথ্য জানান অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। খবর বিবিসির

তথ্য অনুসারে, ক্যালিফোর্নিয়ার মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ২০২৪ সালে ৪ দশমিক ১০ ট্রিলিয়ন (লাখ কোটি) ডলার ছুঁয়েছে। যেখানে জাপানের জিডিপির আকার ৪ দশমিক ০১ ট্রিলিয়ন ডলার। অঙ্গরাজ্যটি এখন কেবল সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জার্মানির চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। 

নিউসম বলেন, ‘ক্যালিফোর্নিয়া কেবল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে না। বরং আমরা গতিপথ ঠিক করছি।’ তবে এই উন্নয়নযাত্রা সামনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি। নিউসম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির সমালোচনা করেছেন এবং আইনি লড়াইও শুরু করেছেন। তিনি ২০২৮ সালে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। 

যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন ও কৃষিতে ক্যালিফোর্নিয়ার বড় হিস্যা রয়েছে। পাশাপাশি দেশটির দুই বৃহত্তম সমুদ্রবন্দরও সেখানেই অবস্থিত। পাল্টা উচ্চ শুল্ক ৯০ দিন স্থগিত করলেও ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যে সব দেশের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। মেক্সিকো ও কানাডার ওপর বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। আর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের সঙ্গে রীতিমতো বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আসা চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন এবং তার পাল্টায় মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে চীন। পরে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, আগের শুল্কের সঙ্গে নতুন শুল্ক যুক্ত হলে কিছু চীনা পণ্যে তা ২৪৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। 

শুল্কযুদ্ধের এ পরিস্থিতিতে নিজের অঙ্গরাজ্যের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উদ্বেগ জানিয়েছেন নিউসম। তিনি বলেন, আমরা যখন এই সাফল্য উদযাপন করছি, তখন বর্তমান ফেডারেল প্রশাসনের বেপরোয়া শুল্ক নীতির কারণে আমাদের অগ্রগতি হুমকির মুখে রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতি জাতিকে শক্তি যোগায় এবং এটিকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন র ওপর ন উসম

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের

বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।

আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।

স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।

ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ