ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা পবন কল্যাণ। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয়। জনসেনা পার্টির প্রধান তিনি। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে অন্ধ্রপ্রদেশে তার দল দুটো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দুটোতেই জয় লাভ করে। বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন এই তারকা।

প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন পবন কল্যাণ। গত বছর তার অভিনীত কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। ফলে, জোর গুঞ্জন উঠেছিল, অভিনয় ছেড়ে দিচ্ছেন পবন। যদিও এই গুঞ্জন উড়িয়ে দেন ‘গব্বর সিং’। এবার সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নিয়ে রেকর্ড গড়লেন পবন কল্যাণ।

সিয়াসাত ডটকমের তথ্য অনুসারে, ‘ওস্তাদ ভগত সিং’ সিনেমার জন্য পবন কল্যাণকে ১৭০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বেশি) পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে। প্যান ইন্ডিয়ার বাইরের সিনেমার জন্য কোনো তেলেগু অভিনেতাকে দেওয়া এটিই সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক। সিনেমায় খানিকটা অনিয়মিত হওয়ার পরও পবন কল্যাণের উপরে প্রযোজকরা চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে পারেন, এটি তারই প্রমাণ।

সিনেমায় অভিনয় করে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করে থাকেন পবন কল্যাণ। ২০২৩ সালে এক কর্মী সমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে পবন কল্যাণ বলেন— “আমি দেশের বড় অভিনেতাদের একজন। একজন সাধারণ নায়ক হিসেবে অন্য সেরা নায়কদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করি না। প্রতি বছর ২০০ দিন কাজ করি এবং ৪০০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫২৮ কোটি টাকার বেশি) আয় করি। কিন্তু আমি যদি প্রতিযোগিতা করতে চাই, তবে বছরে এক থেকে দেড় হাজার কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩০০ থেকে ১৯০০ কোটি টাকার বেশি) আয় করতে পারি। এটাই আমার সামর্থ্য। কিন্তু আমি অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করতে চাই।”

পবন কল্যাণ অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ব্রো’। ২০২৩ সালের ২৮ জুলাই মুক্তি পায় এটি। বর্তমানে পবন কল্যাণের হাতে চারটি সিনেমার কাজ রয়েছে। ‘হরি হারা বীরা মালু’ পরিচালনা করছেন কৃষ। এতে ২৮ বছর বয়সি অভিনেত্রী নিধি আগরওয়াল জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন। আগামী মে মাসে সিনেমাটির শুটিং শেষ হবে। সিনেমাটির সিক্যুয়েল নির্মাণের কাজও চলমান।

‘ওজি’ সিনেমায় পবনের সঙ্গে রয়েছেন ইমরান হাশমি, প্রিয়াঙ্কা মোহন, প্রকাশ রাজের মতো তারকারা। আগামী জুনে পরবর্তী শিডিউলের শুটিং শুরুর কথা রয়েছে। এটি পরিচালনা করছেন সুজিত। অন্যদিকে আগামী জুলাই মাসে ‘ওস্তান ভগত সিং’ সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজ শুরুর কথা রয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর করছ ন ন পবন

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা

অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৪ তরুণ। কিন্তু দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর পাঁচ মাস ধরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের দাবি, দালালের প্রলোভনে পড়ে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।

ইউরোপের কোনো দেশে গেলে সচ্ছলতা আসবে, এমন ধারণা নিয়ে প্রতিবছর মাদারীপুর থেকে শত শত তরুণ সেখানে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। তবে অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কেউবা দালালের খপ্পরে পড়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে কাটাচ্ছেন বন্দিজীবন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৫ জন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মারা গেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছেন অন্তত ৩৫০ তরুণ। নিখোঁজ আছেন তিন শতাধিক।

সবশেষ নিখোঁজ তরুণদের সবার বাড়ি রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন পাখুল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে সালমান ব্যাপারী, চৌরাশী গ্রামের মোসলেম শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার, একই গ্রামের মজিবর বয়াতীর ছেলে সাজ্জাদ বয়াতী, জাকির মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর, কানাই রায়ের ছেলে লিটন রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে বাঁধন বাড়ৈ, কিসমদ্দি বাজিতপুর গ্রামের আলম চৌকিদারের ছেলে ইমন চৌকিদার, অহিদুল মাতুব্বরের ছেলে নয়ন মাতুব্বর, আজিজ খালাসির ছেলে খলিল খালাসি, সোনা মিয়া চৌকিদারের ছেলে সোহেল চৌকিদার, নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ বাড়ৈর ছেলে গৌতম বাড়ৈ, একই গ্রামের সামচু সরদারের ছেলে ইমরান সরদার, শ্রীনাথদী বাজিতপুরের জলিল বয়াতীর ছেলে আল আমিন বয়াতি ও শ্রীনদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ঘরামির ছেলে আলী ঘরামি। তাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।

স্বজনদের অভিযোগ, মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বাজিতপুর এলাকার বাবুল হাওলাদার ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ১৬ লাখ টাকা করে নেন। পরে লিবিয়ায় বন্দী করে আদায় করেন আরও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এর পর থেকে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

মাদারীপুরের ১৪ তরুণ ইতালি যেতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দালালের হাত ধরে ঘর ছাড়েন। নিখোঁজ তরুণদের সন্ধানে তাদের ছবি হাতে স্বজনেরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হুতিদের হামলায় সৌদি যুবরাজের লোহিত সাগর বন্দর পরিকল্পনা কি ভেস্তে যাবে
  • গাজায় নৃশংসতা চালিয়ে ইসরায়েল কি পশ্চিমা বিশ্বেও একঘরে হয়ে যাচ্ছে
  • স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থেকে মুক্তি পাকেতার
  • কলকাতায় বাংলাদেশি অভিনেত্রী গ্রেপ্তার , দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের
  • কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী
  • ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত, একাদশে চার পরিবর্তন
  • কর্মস্থলে অনুপস্থিত, পাঁচ প্রকৌশলী ও এক স্থপতি বরখাস্ত
  • গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতি বরখাস্
  • মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
  • দলবদলের বাজারে চেলসিই রাজা, শীর্ষ দশে আর কারা