রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা অটোরিকশার চালক ও যাত্রী। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের মনারটেক আমবাগান এলাকায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত ব্যক্তিদের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি থেকে পাঁচজন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামে যাচ্ছিল অটোরিকশাটি। কাউখালীর বেতবুনিয়ার মনারটেক আমবাগান এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে অটোরিকশাটির সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। আহত হয়েছেন এক যাত্রী। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন। দুর্ঘটনার পর পিকআপ ভ্যানটির চালক গাড়ি রেখে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

সাইফুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ রয়েছে। লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প কআপ ভ য ন দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ