পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষ প্রাণ গেল ছয়জনের
Published: 26th, April 2025 GMT
রাঙামাটির কাউখালীতে পিকআপ ভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাড়া এলাকায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে মুন্সীগঞ্জে পৃথক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে তিনজনের। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাইক্রোবাসের চাপায় এক শিশু নিহত হয়েছে।
রাঙামাটিতে নিহতরা হলেন– চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কাজীপাড়ার সোয়ার আলীর ছেলে তৈয়ব অলী (৪৫), একই উপজেলার সুলতানপুরের সিরাজুল হকের ছেলে জয়নাল আবদিন (৬০), অটোরিকশাচালক সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারীর ইজাজুল (২৫), হাটহাজারী উপজেলার মিরহাটের মাহাবুবুর রহমান বাচ্চু (৫৫), রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের তালুকদার পাড়ার আব্দুর রহিমের স্ত্রী নুরুনাহার বেগম (৪০) ও একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডাবুয়া এলাকার মংসিপ্রু মারমার স্ত্রী মিনু মারমা (৩৫)।
জানা গেছে, গতকাল বেতবুনিয়া ইউনিয়নের চায়েরী বাজারের সাপ্তাহিক হাট ছিল। বাজার শেষে রাউজান অভিমুখী অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন পাঁচ যাত্রী। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেতবুনিয়ার চেয়ারম্যান পাড়া এলাকায় পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে চালকসহ চারজন ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। অন্য দু’জন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান।
নিহত নুরুনাহারের স্বামী আব্দুর রহিম জানান, ছয় মাসের শিশু নুরীকে ঘুম পাড়িয়ে বেতবুনিয়ার চায়েরী বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে গিয়েছিলেন নুরুনাহার। বাজার শেষে স্টেশন থেকে অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন। পথে কাঠবোঝাই পিকআপের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষে তাঁর প্রাণ যায়। ছোট নুরী এখন তার মাকে খুঁজছে আর কাঁদছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত পিকআপ ও অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। পিকআপচালক ঘটনার পর থেকে পলাতক। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও সিরাজদীখানে শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে পৃথক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন চারজন। নিহতরা হলেন পায়েল ব্যাপারী (২৪), আলিমুর রহমান (২৭) ও ইউসুফ খান (৫২)।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ হোসেন জানান, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে শ্রীনগরের হাসাড়ায় একটি ট্রাক পেছন থেকে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন রংপুরের বাসিন্দা আলিমুর। এ সময় আহত হয় তাঁর সঙ্গী আবদুর রহমান (১৭)। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্রীনগরের সমষপুর এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পথচারী পায়েল ব্যাপারী নিহত হন। এতে আহত হন দু’জন।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিরাজদীখানের নিমতলা রেলস্টেশনের সামনে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী ইউসুফ নিহত হন। তিনি ফরিদপুরের সালথার বাউশখালী গ্রামের বেদন খানের ছেলে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাখিমারা পানি জাদুঘরের সামনে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের চাপায় ইব্রাহিম জাবের নামে সাত বছরের শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সে কুয়াকাটা-সংলগ্ন হুইছেনপাড়া গ্রামের আফজাল হাওলাদারের ছেলে। জাবের কয়েক দিন আগে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামে নানাবাড়িতে বেড়াতে আসে।
(তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অফিস ও প্রতিনিধি)
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন উপজ ল র দ র ঘটন শ র নগর স ঘর ষ ঘটন য় প কআপ
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন