ওয়ালটনের নতুন স্মার্টওয়াচ ‘টিক এএমএক্স১৩’
Published: 27th, April 2025 GMT
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বাজারে নিয়ে এসেছে তাদের নতুন স্মার্টওয়াচ ‘টিক এএমএক্স১৩’। আধুনিক প্রযুক্তি, দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন এবং অল-ইন-ওয়ান স্মার্ট ফিচারের এক ব্যতিক্রমী সংমিশ্রণ এই নতুন স্মার্টওয়াচ। স্টাইল, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও প্রতিদিনের ডিজিটাল কন্ট্রোল এর জন্য ওয়ালটনের ‘টিক এএমএক্স১৩’ স্মার্টওয়াচটি হতে পারে পারফেক্ট চয়েস।
নতুন এই স্মার্টওয়াচটিতে রয়েছে ১.
‘টিক এএমএক্স১৩’ স্মার্টওয়াচটিতে রয়েছে শক্তিশালী এসএফ৩২এলবি৫৬৩ চিপসেট এবং ৩৫০ এমএএইচ ব্যাটারি যা একবার চার্জে ৮-১০ দিন পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে পারে। এই মডেলটিতে ইন-বিল্ট স্পিকার ও মাইক্রোফোন থাকায় সরাসরি ব্লুটুথ কলিং করা যায়। পাশাপাশি দ্রুত রেসপন্সের জন্য রয়েছে ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট ও ভাইব্রেশন অ্যালার্ট।
আরো পড়ুন:
গ্রাহকের মৃত্যুতে কিস্তি মওকুফসহ আর্থিক সহায়তা দিল ওয়ালটন
স্ত্রীকে শেয়ার উপহার দেবেন ওয়ালটনের উদ্যোক্তা পরিচালক
হেলথ ও ফিটনেস মনিটরিংয়ে ‘টিক এএমএক্স১৩’ স্মার্টওয়াচ একটি সত্যিকারের অল-ইন-ওয়ান সলিউশন। এতে রয়েছে ১০০টি স্পোর্টস মোড, যার মধ্যে ৪টি অটো রিকগনিশন সহ রয়েছে রানিং প্ল্যান ও রানিং কোর্স ফিচার। এছাড়াও থাকছে ২৪ ঘণ্টার হেলথ ট্র্যাকিং সুবিধা—হার্ট রেট, স্ট্রেস, ঘুমের সময় বিশ্লেষণ, রেসপিরেশন রেট, এইচআরভি এবং পিপিজি ব্লাড প্রেসার মনিটরিং।
স্মার্ট অ্যাসিস্ট্যান্টযুক্ত এই স্মার্টওয়াচে রয়েছে মেসেজ ও কল অ্যালার্ট, গোল রিমাইন্ডার, ওয়াটার অ্যান্ড স্লিপ রিমাইন্ডার, রিমোট ক্যামেরা, মিউজিক কন্ট্রোল, ক্যালকুলেটর, গেমস, এমনকি ওমেন্স হেলথ রিমাইন্ডার-এর মতো অতিরিক্ত স্মার্ট ফিচারও। ‘টিক এএমএক্স১৩’ স্মার্টওয়াচটি ৩এটিএম ওয়াটারপ্রুফ রেটিংধারী হওয়ায় বর্ষাকাল বা ঘামযুক্ত পরিবেশেও এটি অনায়াসে ব্যবহারযোগ্য। পাশাপাশি এতে রয়েছে শকপ্রুফ কেসিং এবং ডাস্ট রেজিস্ট্যান্ট ফিচার যা স্মার্টওয়াচটিকে করে তোলে ভার্সেটাইল এবং অলরাউন্ড ইউজের জন্য আদর্শ।
ওয়ালটন কম্পিউটারের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, “আধুনিক জীবনযাপনে স্মার্টওয়াচ আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। ওয়ালটন প্রতিনিয়ত গ্রাহকের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে। আমাদের ‘টিক এএমএক্স১৩’ স্মার্টওয়াচটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা গ্রাহকের আধুনিক জীবনের বিশ্বস্ত সঙ্গী হয়ে উঠবে। এটি হবে সময়ের সঠিক ও সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য অন্যতম নির্ভরযোগ্য গ্যাজেটস।”
বর্তমানে ‘টিক এএমএক্স১৩’ স্মার্টওয়াচটি মাত্র ৪ হাজার ৮৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে সকল ওয়ালটন প্লাজাতে। এছাড়া ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (https://waltondigitech.com/products/lifestyle/smart-watch/walton-tick-amx13-smart-watch?tab=specs) ভিজিট করে অনলাইনে সরাসরি অর্ডার করার সুবিধাও পাচ্ছেন গ্রাহকরা। ফিচারে পরিপূর্ণ এবং ডিজাইনে প্রিমিয়াম ‘টিক এএমএক্স১৩’ স্মার্টওয়াচে থাকছে ১ বছরের ওয়ারেন্টি ও বিশ্বস্ত আফটার-সেলস সার্ভিসের নিশ্চয়তা।
ঢাকা/অগাস্টিন সুজন/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম র টওয় চ ব যবহ র র জন য ড জ ইন
এছাড়াও পড়ুন:
মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি দিল র্যাব, চায় সাইবার ইউনিট
অপরাধের ধরন বদলে যাচ্ছে। অভিনব কৌশলে সক্রিয় সাইবার অপরাধীরা। প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলা করা নতুন চ্যালেঞ্জ। এ জন্য স্বতন্ত্র সাইবার ইউনিট চেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন গতকাল বুধবার কর্মপরিকল্পনার সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। সেখানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), র্যাবসহ একাধিক ইউনিট একুশ শতকের জটিল অপরাধ ও তা নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিগত প্রস্তুতির বিষয়টি সামনে আনে। গতকাল পুলিশের যে ইউনিটগুলো পরিকল্পনা তুলে ধরেছে, তা হলো হাইওয়ে পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), নৌ পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), শিল্প পুলিশ, র্যাব, অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট, রেলওয়ে পুলিশ ও সিআইডি।
কীভাবে প্রত্যন্ত এলাকার ভুক্তভোগী র্যাবের সহযোগিতা পেতে পারেন, সে বিষয়টি উপস্থাপন করেন বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান। তিনি দ্রুত গুজব প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থার ওপর জোর দেন। র্যাবের জন্য আলাদা একটি সাইবার ইউনিটের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। র্যাব জনবান্ধব হওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে র্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিজি বলেন, ‘কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও মানবাধিকার বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ র্যাব। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে তদন্ত সেলকে শক্তিশালী করা হয়েছে। একটি মানবাধিকার সেলও গঠন করা হয়েছে।’
রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উপস্থিত সূত্রের মতে, র্যাব ডিজির উপস্থাপনায় মূলত বাহিনীর অর্জনগুলো তুলে ধরা হয়।
সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিআইডি ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়। সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি (ভারপ্রাপ্ত) গাজী জসীম অনুষ্ঠানে জানান, জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী মামলার অনুসন্ধানে সিআইডি বিশেষ টিম গঠন করেছে। সাবেক মন্ত্রী, প্রভাবশালীদের সন্দেহজনক সম্পদের উৎস ও প্রকৃতি নিয়ে নিবিড়ভাবে চলছে তদন্ত। এস আলম, বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, নাবিল, ইউনিক, সিকদার গ্রুপসহ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা ও অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এ সময় প্রায় ৫ হাজার ৮০০ শতাংশ জমি ও হাজার কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ শনাক্ত করা হয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফের একটি মামলায় ১০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।
সিআইডির উপস্থাপনায় আরও বলা হয়, ফরেনসিক শাখা দিন দিন অপরাধ বিশ্লেষণের নির্ভরযোগ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। জনবল, সরঞ্জাম এবং অর্থের সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি সিআইডিতে আছে কাঠামোগত ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ। কোনো জেলা ইউনিটে একটিও অপারেশনাল যানবাহন নেই। এ ছাড়া অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে অনিয়মিত বদলি আতঙ্ক রয়েছে। সাইবার পুলিশ সেন্টারে রয়েছে সরঞ্জামের অভাব। ফরেনসিক ল্যাবে সফটওয়্যারের জন্য বাজেট-স্বল্পতার কথা তুলে ধরেন তারা।
হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেওয়া হয়। মহাসড়কে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে মহাসড়কের সিসিটিভি থেকে হাইওয়ে পুলিশ ডিজিটাল অটো ফাইন সিস্টেম, ট্রাফিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, ক্লোন নাম্বারপ্লেট শনাক্ত, হাইস্পিড ডিটেকশন করে থাকে।
এর আগে মঙ্গলবার পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পক্ষ থেকে তাদের কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। সেখানে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(২) ধারায় তালিকাভুক্ত ব্যক্তিকে ডিটেনশনে (নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিনা বিচারে আটক রাখা) নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং পরিস্থিতির অবনতি যেন না ঘটে, সে জন্য তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের ডিটেনশনে নেওয়া উচিত। সরকারের অনুমতি পেলে এসবির পক্ষ থেকে তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের বিস্তারিত জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। ডিটেনশনে নেওয়ার জন্য যাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, তাদের কেউ কেউ পেশাদার অপরাধী।