মাথার ওপর কাঠফাটা রোদ, চাতালতলায় আগুনে উত্তাপ। এর মাঝেই ধান শুকানোর কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয় কৃষক পরিবারের সদস্যরা। তাহিরপুরসহ সুনামগঞ্জ জেলার সবখানে এখন বোরো ধান ঘরে তোলার ব্যস্ততা। তাই রুক্ষ প্রকৃতিকে উপেক্ষায় করেই কাজ করে যাচ্ছেন বোরোচাষি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাদেরই একজন বলেন, ‘গরিবের আছে খালি ক্ষুধা। ঠান্ডা-গরম বইলা কিছু নাই। জমির ধান গোলায় গেলে খাওন জুটবো। অভাব-অনটন থাকব না। এই ফসলের কাছে গরম কিছুই না।’
হাওরাঞ্চলে এবার বোরোর প্রত্যাশিত ফলন হয়েছে। এতে স্থানীয় কৃষকের চোখেমুখে খুশির ঝিলিক। যত্নে ফলানো সোনার ফসল ঘরে তোলায় ব্যস্ত এসব কৃষকের কাছে বাকি সব কষ্টই উপেক্ষিত। শনির হাওর, মাটিয়ান হাওর, মহালিয়াসহ উপজেলার ২৩টি হাওরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে।
হাওরপারের কৃষকরা ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়া, খড় শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখন। ফলন ভালো হওয়ার আনন্দে প্রচণ্ড গরমেও তাদের বিরামহীন ব্যস্ততায় কোনো ভাটা নেই।
রোববার শনির হাওরপারের ভাটি তাহিরপুর গ্রামের ধানের খলাগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ধান শুকাচ্ছেন। প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে পরিবারের ছোট-বড় সবাই সেখানে কাজ করছেন খুশি মনে। কেউ ধান শুকাচ্ছেন, কেউ চিটা ছাড়াচ্ছেন। কেউ আবার ব্যস্ত মাড়াই কাজে।
ভাটি তাহিরপুর গ্রামের কৃষক মহসিন মিয়া বলেন, রাস্তাঘাট খারাপ থাকার কারণে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে প্রতি বস্তা ধান ৫০-৬০ টাকা খরচে খলায় আনতে হচ্ছে। হাওরের ভেতরের রাস্তাঘাট ভালো হলে এমনটা হতো না।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে বিভিন্ন ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার ৪
বন্দরে একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীসহ বিভিন্ন ওয়ারেন্টে ৪ পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত ওয়ারেন্টে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার ২২ নং ওয়ার্ডের লের্জাস ১নং গল্লী এলাকার মৃত আজিম মিয়ার ছেলে বন্দর থানা ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানার একাধিক জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী রুবেল (৩৪) একই থানার সোনাকান্দা মসজিদ এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী জনি (৩৫)|r
একই থানার রামনগর এলাকার মৃত সিদ্দিক মুন্সী ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আব্দুল কুদ্দুস (৫২) ও গকুলদাশেরবাগ এলাকার আনোয়ার মিয়ার ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ইব্রাহিম (৩০)।