Samakal:
2025-05-01@05:27:34 GMT

গরমে বেল খাবেন যেসব কারণে

Published: 28th, April 2025 GMT

গরমে বেল খাবেন যেসব কারণে

গরমের তীব্রতা বাড়ছে। এ সময় শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পানি পানের বিকল্প নেই। এর পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় এমন কিছু পানীয় রাখা উচিত  যা শরীরের ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি, ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া খনিজের অভাবও পূরণ করে।

পুষ্টিগুণে ভরপুর বেলের শরবত তাপপ্রবাহের অস্বস্তি, রোদের জ্বালাপোড়া ভাব, দূর করতে ভূমিকা রাখে। শুধু তাই নয়, নিয়মিত বেল খেলে চুল ও ত্বকের উজ্জ্বলতাও ফিরে আসে। 

বেলে থাকা অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বকের সংক্রমণ রোধ করে। ত্বকের একাধিক রোগ নিরাময় করারও ক্ষমতা রয়েছে বেলের। চুলেরও অনেক রোগের সঙ্গে লড়াই করতে পারে এই ফলটি।

ত্বকের জন্য বেল যেভাবে উপকারী

ত্বকের র‌্যাশ দূর করে

বেল গাছের মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি অর্থাৎ প্রদাহনাশক গুণ থাকায় তা ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষায় খুব কার্যকরী। কেবল ফল নয়, বেল পাতা ও বেলের তেল ক্ষতিকারক ছত্রাককে ধ্বংস করতে ভূমিকা রাখে। এর ফলে ত্বক সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচে। বেল ফল ত্বকের র‌্যাশ এবং চুলকানি কমাতেও ভূমিকা রাখে।

ত্বকে প্রদাহ দূর করে

বেল ফল, শিকড়, গাছের খোসা, পাতা এবং ফলের অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং প্রদাহনাশক গুণাবলি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ত্বকে লাল ভাব দেখা দিলে অথবা ফুলে গেলে বেল খেতে পারেন। 

কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে

বেল ফলে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই ফল খেলে ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। নিয়মিত এই ফল খেলে ত্বকে বার্ধক্য রোধ হয়। 

চুলের জন্য বেল যেভাবে উপকারী

প্রাচীন কাল থেকেই চুল মজবুত করতে বেল ফলের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। বেলে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল বৈশিষ্ট্য ফলিকিউলাইটিস, চুলকানি এবং খুশকির মতো মাথার ত্বক এবং চুলের সংক্রমণ থেকে মুক্ত করে। এই ফলে থাকা পুষ্টি উপাদান চুলের ফলিকলগুলিকে সক্রিয় করে তোলে। মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মজবুত করে চুলকে। স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ স্বাভাবিক করে। এর ফলে মানসিক চাপের কারণে চুল পড়ার সমস্যা কমে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত বক র ব ল ফল

এছাড়াও পড়ুন:

জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপাচার্যের কাউন্সিল কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান তফসিল ঘোষণা করেন।

নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ মে খসড়া ভোটার তালিকা ও খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। ২১ মে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি ও মতামত গ্রহণ করা হবে। ৩০ জুন চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা ও চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। 

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক প্রার্থীগণ ১ থেকে ৩ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। ১ থেকে ৭ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীগণ। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ৯ জুলাই।

মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়ে এবং বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণ করা হবে ১১ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আপিলের শুনানি গ্রহণ ও রায় ঘোষণা করা হবে ১৩ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৪ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৫ জুলাই। ১৬ থেকে ২৮ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে নির্বাচনী প্রচারণা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৬ জুলাই।

১৯৯২ সালে সর্বশেষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ ৩২ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের জাকসু নির্বাচন।

ঢাকা/আহসান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ