দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালাতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান।

তিনি বলেছেন, “দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালাতে পারে না। মীর কাসেম আলী আমেরিকায় ছিলেন। তার কিছু বন্ধু তাকে বাংলাদেশে আসতে নিষেধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে গেলে কি হবে। তার বন্ধুরা বলেছিলেন, আপনারও একই অবস্থা হতে পারে। তখন তিনি বলেছিলেন, মৃত্যুর কাছে দাঁড়িয়ে বলব আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে, সেসব মিথ্যা।”

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা আব্দুস সালাম হলে কিংবদন্তী রাজনীতিবীদ ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব মাওলানা আব্দুস সুবহান রহ.

এর স্মরণে ‘মাওলানা আব্দুস সুবহান রহ. তৃণমূল থেকে শীর্ষে’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

আরো পড়ুন:

যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময় 

বিএনপি নেতাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগ শিবিরের বিরুদ্ধে

তিনি বলেন, “মীর কাসেম আলী দেশকে ভালোবাসতেন। দেশের মানুষকে ভালবাসতেন। আর দেশকে ভালোবাসতেন বলেই দেশে ফিরে এসেছিলেন। মাওলানা সুবহানরা কখনো হারিয়ে যান না। আমার যারা সহকর্মী রাজনৈতিক মাঠে আছেন, তাদের বলব- তাদের (সুবহানদের) কাছ থেকে শিক্ষা অর্জন করতে।”

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে জামায়াত নেতা বলেন, “মাওলানা আব্দুস সুবহান এর মত উদারতা সাহসিকতা আমাদের অর্জন করতে হবে। জাতির স্বার্থে দল মত নির্বিশেষে আমরা ঐক্যবদ্ধ। ব্যক্তিগতভাবে কেউ পরাজিত হতে পারে। কিন্তু সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে এ জাতি বিজয়ী হবে।”

ঢাকা/রায়হান/মেহেদী 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ