চট্টগ্রাম নগরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সমাবেশ পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে নগরের ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

আটক তিনজন হলেন- রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের চট্টগ্রাম শাখার আহ্বায়ক আল কাদেরী জয়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মিরাজ উদ্দিন ও রূপন। এদের মধ্যে আল কাদেরী জয় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) চট্টগ্রাম জেলার ইনচার্জের দায়িত্বেও আছেন।

সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের দাবি, পুলিশের হামলায় তাদের অন্তত পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত করায় তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গত ১৮ এপ্রিল রাতে নগরের কাপাসগোলা এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা উল্টে হিজরা খালে পড়ে ছয় মাস বয়সী শিশু সেহেরীশ নিহত হয়। এ ঘটনার পর নগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা.

শাহাদাত হোসেন। ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। নগরের বিভিন্ন সড়ক ও গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে তিন হাজারের বেশি রিকশা জব্দ করা হয়।

গত ২৩ এপ্রিল চালকরা ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের প্রতিবাদে নগরের বাহির সিগন্যাল এলাকায় সড়ক অবরোধ করে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৬ জন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ ও গ্যারেজে হয়রানি বন্ধ, হামলা-নির্যাতন বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে নগরের দেওয়ান হাট মোড়ে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি আয়োজন করে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রাম শাখা। তারা দেওয়ানহাট মোড়ে জড়ো হলে পুলিশ অতর্কিত হামলা শুরু করে বলে অভিযোগ সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব মনির হোসেন বলেন, আমরা ১০০-১৫০ জন মাত্র রাস্তার পাশে জড়ো হয়েছি। আমরা সড়কে যাইনি। কোনো বিশৃঙ্খলাও করিনি। সরকার কিংবা পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো স্লোগানও দিইনি। কিন্তু অতর্কিতভাবে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা শুরু করে। মাইক-ব্যানার কেড়ে নিয়ে নির্বিচারে লাঠিপেটা করে। আহত হয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে নানাদিকে চলে গেছে সবাই। এরমধ্যে আহত পাঁচজনকে আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডবলমুরিং থানার ওসি কাজী রফিক আহমেদ বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের নামে কিছু ব্যক্তি সড়ক অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছিলেন। যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি। তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হালিশহর থানায় দায়ের হওয়া একটি নিয়মিত মামলার আসামি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় চোখে টর্চলাইটের আলো পড়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত এরশাদ আলী উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে মানিক মিয়ার মুদিদোকানে যান এরশাদ আলী। এ সময় এরশাদ আলীর চোখে টর্চলাইটের আলো ফেলে বিরক্ত করেন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাকিব মিয়া। এ নিয়ে দুজন বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ালে স্থানীয় লোকজন মিটমাট করে দেন। পরে এরশাদ আলীসহ সবাই যে যার মতো বাড়িতে চলে যান।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে এরশাদ আলীকে ডেকে নিয়ে আবার কথা-কাটাকাটি ও মারামারিতে জড়ান সাকিব ও তাঁর সঙ্গে আসা কয়েকজন। একপর্যায়ে এরশাদ আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত এরশাদ আলীকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে অভিযুক্ত সাকিব মিয়াসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। নিহত এরশাদ আলীর শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা
  • চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা