ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় একটি আবাসিক হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতা পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে।
বড়বাজার এলাকার বহুতল ঋতুরাজ হোটেলে গতকাল রাত সোয়া আটটার দিকে ওই আগুন লাগে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মা জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

আজ বুধবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, বড়বাজারের মেছুয়ার ফলপট্টির হোটেলটিতে ৪৭টি কক্ষ রয়েছে। প্রায় প্রতিটি কক্ষে মানুষ ছিলেন। প্রায় ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। ঘন ধোঁয়ার কারণে হোটেলের ভেতরে ঢুকতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের অনেক সময় লেগে যায়।

আনন্দবাজার আরও জানিয়েছে, আনন্দ পাসোয়ান নামের একজন আগুন থেকে বাঁচতে বহুতল হোটেলটির ওপর থেকে ঝাঁপ দেন। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক এক্স পোস্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের উদ্ধার করার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঠেকাতে অগ্নিনিরাপত্তায় ‘কঠোর নজরদারি’র আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

অগ্নিকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার কলকাতা করপোরেশনের তীব্র সমালোচনা করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের

বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।

আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।

স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।

ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ