রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোশিয়েশন (রুয়া) ও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন সময় মতো নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে জোহা চত্ত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

বিক্ষোভ মিছিলে তারা ‘সিন্ডিকেট না রাকসু? রাকসু রাকসু’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া? রুয়া রুয়া’, ‘রাকসু নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘সিলেকশন না ইলেকশন? ইলেকশন ইলেকশন’, ‘অ্যাকশান টু অ্যাকশান ডাইরেক্ট অ্যাকশান’, ‘জ্বালোরে জ্বালো আগুন জ্বালো’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।

আরো পড়ুন:

দাবি প্রত্যাখান: রাবির ‘এ’ ইউনিটে ৭৫০ ওএমআর বাতিল

জুলাই বিপ্লবী মেয়েরা আজ নিরাপদ বোধ করছে না: ফরহাদ মজহার

সমাবেশ শিক্ষার্থীরা বলেন, রুয়া নির্বাচন সঠিক সময়েই করতে হবে। এটা নিয়ে কোনো তালবাহানা আমরা করতে দেব না। যে কুচক্রী মহল রুয়া বানচাল করতে চাচ্ছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক। কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র আমরা সহ্য করব না। আমাদের রক্তের উপর দিয়ে হলেও রুয়া এবং রাকসু নির্বাচন দিতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা, সালাউদ্দিন আম্মারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা বক্তব্য দেন।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল কশন

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রতিনিধি

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য জার্মানিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রতিনিধি দল। সোমবার এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়দের সাথে আলোচনার জন্য জার্মানি সফর করছেন।

মার্কিন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সাথে আলোচনার নেতৃত্বদানকারী উইটকফকে পাঠানোর সিদ্ধান্তটি একটি সংকেত বলে মনে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ওয়াশিংটন অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, ট্রাম্প যদি মনে করেন যে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে তবেই কেবল একজন কর্মকর্তাকে আলোচনায় পাঠাবেন।

 বৈঠক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জার্মান সরকারের একটি সূত্র বলেছেন, “ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা সপ্তাহান্তে বার্লিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”

সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর মের্জ বার্লিনে জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনের আতিথেয়তা করছেন, যা ইউরোপ জুড়ে মিত্রদের কাছ থেকে ইউক্রেনীয় নেতার প্রতি সমর্থনের ধারাবাহিক প্রকাশ্য প্রদর্শনের সর্বশেষ ঘটনা। কারণ প্রাথমিকভাবে মস্কোর প্রধান দাবিগুলিকে সমর্থন করে এমন একটি শান্তি পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করার জন্য কিয়েভ ওয়াশিংটনের চাপের মুখে রয়েছে।

ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মার্কিন প্রস্তাবগুলোকে পরিমার্জন করার জন্য কাজ করছে। আগের প্রস্তাবে কিয়েভকে আরো ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার, ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করার এবং তার সশস্ত্র বাহিনীর সীমাবদ্ধতা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ