বাড়তি ৬০০ মিলিয়ন ডলার খরচ এয়ার ইন্ডিয়ার
Published: 2nd, May 2025 GMT
কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর নিজেদের আকাশসীমায় ভারতের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। আর এ পরিস্থিতিতে চরম ক্ষতির মুখে পড়ছে ভারতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া।
জানা গেছে, পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ হওয়ার পর বিকল্প পথে উড়ে যেতে খরচ বহুগুনে বেড়ে যাবে এয়ার ইন্ডিয়ার। পাকিস্তানের আকাশসীমা যদি এভাবে বন্ধ থাকে, তাহলে বাড়তি ৬০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে তাদের। বাড়তি জ্বালানি, ফ্লাইট চলার সময়ও বৃদ্ধি করতে হবে। এদিকে যাতায়াতে বেশি সময় লাগলে যাত্রীদের ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে এয়ার ইন্ডিয়া।
বিমান সংস্থার দাবি, এই অবস্থা চলতে থাকলে, বছরে বাড়তি ৫৯১ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে তাদের।
জানা যায়, আপাতত আগামী ২৩ মে পর্যন্ত শুধু ভারতীয় বিমান সংস্থার জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে। যদিও আন্তর্জাতিক বিমানের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের পর বিকল্প পথে চীনের আকাশসীমার গা ঘেঁষে বিমান ওড়ানোর কথাও ভাবছে এয়ার ইন্ডিয়া। কিন্তু তার জন্য চীনের ছাড়পত্র প্রয়োজন, যা নিতেও সরকারের সহযোগিতা চাচ্ছে বিমান সংস্থাটি।
পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে পাকিস্তান।
তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।
এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। বর্তমানে এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সূত্র : রয়টার্স
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের লাশ হস্তান্তর
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের ওপারে বিএসএফের গুলিতে নিহত শান্ত (২০) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার জামালপুর সীমান্ত পিলার ১৫২/৭ এস মেইন পিলারের নিকট কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতের নিউ উদয় ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা লাশ হস্তান্তর করেন।
শান্ত উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের শিপন আলীর ছেলে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৫ ডিসেম্বর রাতে শান্ত ১০-১২ জন সহযোগী নিয়ে জামালপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের প্রায় ৫০০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ভারতের নিউ উদয় বিএসএফ ক্যাম্পের টহল সদস্যরা গুলি ছুঁড়লে শান্ত গুলিবিদ্ধ হন। পালিয়ে যান সঙ্গে থাকা সদস্যরা। আহতাবস্থায় শান্তকে উদ্ধার করে নিজ ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে দুই দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে শনিবার বিকেলে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘শনিবার সন্ধ্যায় বিএসএফের পক্ষ থেকে শান্তর লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’’
ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব