ব্রাজিলের কোচ হতে মৌখিকভাবে সম্মত হয়েছিলেন কার্লো আনচেলত্তি। ২৫ মে রিয়াল মাদ্রিদ শেষ লিগ ম্যাচ খেলবে। এরপর ব্রাজিলের ডাগ আউটে দাঁড়ানোর কথা ছিল তার। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ বাধ সাধায় ওই চুক্তি ভেস্তে গেছে। এখন সেলেসাওদের কোচ হওয়ার সম্ভাবনা কমে গেছে ডন কার্লোর।
তবে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) হাল ছাড়ছে না। ‘মৌসুম শেষে চাকরি হারাতে চান, নাকি ব্রাজিলের মতো দলের কোচ হতে চান’ এমন প্রশ্ন ঠেলে দিয়ে কার্লো আনচেলত্তিকে আল্টিমেটাম দিয়েছে সিবিএফ। তাকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ২৬ মে পর্যন্ত সময় দিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল।
সংবাদ মাধ্যমের মতে, ব্রাজিলের কোচ হতে আপত্তি নেই ডন কার্লোর। কিন্তু সমস্যা বেধেছে দুটি। রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ইতালিয়ান কোচের চুক্তি আছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। ডন কার্লো যদি চলতি মাসে চাকরি ছেড়ে চলে যান সেক্ষেত্রে লস ব্লাঙ্কোস প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ তাকে ৫ মিলিয়ন ইউরোর ক্ষতিপূরণ দেবেন না।
আবার কার্লো আনচেলত্তি যদি সমঝোতা ছাড়া চাকরি ছেড়ে দেন সেক্ষেত্রে রিয়াল মাদ্রিদকে উল্টো ৫ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পেরেজ নাকি ডন কার্লোকে জানিয়ে দিয়েছেন, অন্য কোথায় দায়িত্ব নিলে তাকে ফ্রি এজেন্টে যেতে হবে। কোন অর্থ তারা দেবে না। তাতে আবার রাজি নন এই ইতালিয়ান টেকনিশিয়ান।
রিয়াল মাদ্রিদে চাকরি হারানোর আগেই সাবেক এসি মিলান, চেলসি, বায়ার্ন মিউনিখ কোচের সামনে লোভনীয় আরও একটি প্রস্তাব এসে হাজির। সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল তাকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে এবং মৌসুমে ৫০ মিলিয়ন ইউরো বেতন দিতে চেয়েছে। আনচেলত্তি রিয়াল মাদ্রিদে ১১ মিলিয়ন ইউরো বেতন পেতেন। ব্রাজিলও তাকে একই অর্থের প্রস্তাব দিয়েছে।
কার্লো আনচেলত্তিকে না পেলে ব্রাজিল পর্তুগিজ কোচ হোর্হে জেসুসকে দায়িত্ব নিতে পারে। হোসে মরিনেহো ব্রাজিলের দায়িত্ব নেওয়ার কথা ভাবছেন না জানিয়ে দেওয়ায় আবেল পেরেইরাও আছেন প্লান ‘বি’ হিসেবে। জেসুস বর্তমানে আল হিলালে কোচিং করাচ্ছেন। লিগ মৌসুম শেষে চাকরি ছাড়তে পারেন তিনি। অর্থাৎ জুনের আগে পাওয়া যাবে তাকে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
দলের প্রতি অনুগত থাকার অঙ্গীকার, জামায়াতে যোগ দিলেন মেজর (অব.) আ
বিএনপির সাবেক নেতা, সাবেক এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি জামায়াতে যোগ দেন।
মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দলটির অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দলটিতে যোগ দিয়ে তিনি ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ, দেশের স্বার্থ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবশিষ্ট জীবন অতিবাহিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিয়ম-নীতি, আদর্শ, দলীয় শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের প্রতি সর্বদা অনুগত থাকার অঙ্গীকার করেন।
ডা. শফিকুর রহমান এ সময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন এবং তার দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করেন।
যোগদান অনুষ্ঠানে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ রাজনীতিক। বিএনপিতে থাকা অবস্থায় দলটির বিরুদ্ধে মন্তব্য করাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি আলোচিত হন।
বিএনপি থেকে দুইবার কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//