ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এই বছরের আগস্টে বাংলাদেশে আসবে ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সফরসূচিও প্রকাশ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

কিন্তু আজ শুক্রবার (০২ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কোহলিদের বাংলাদেশ সফর করার সম্ভাবনা ক্ষীণ। প্রতিবেদনে বলা হয় ‘চলমান পরিস্থিতির কারণে এই সফর হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।’

প্রতিবেদনের বিষয়টি প্রসঙ্গে রাইজিংবিডি যোগাযোগ করে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘‘সফর যেভাবে হওয়ার কথা আছে সেভাবেই হবে। দুই বোর্ড মিলেই চূড়ান্ত করেছে সুচি। এখানে আর আলোচনার কিছু নেই।’’

আরো পড়ুন:

কাশ্মীরে হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানাল ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন

বাংলাদেশকেও পানি দেওয়া বন্ধের দাবি বিজেপির

এই সফরে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে এবং তিন ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত।

ভারতীয় দল ১৩ আগস্ট ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৭ আগস্ট থেকে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে। সেখানে প্রথম দুই ম্যাচে লড়াই করবে বাংলাদেশ-ভারত। তৃতীয় ওয়ানডেটি চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

চট্রগ্রামে, একই ভ্যান্যুতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যচটি শুরু হবে ২৬ আগস্ট। মিরপুরে, বাকি দুই টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ২৯ ও ৩১ আগস্ট। বাংলাদেশের মাটিতে এটাই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত প্রথম দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

২০ বছর পর সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার আসামির আত্মসমর্পণ

দীর্ঘ ২০ বছর পলাতক থাকার পর খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার আত্মসমর্পণ করেছেন। সোমবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জিল্লুর রহমান খান সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নুর মোহাম্মাদ ওরফে নুরুর ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। 

জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাব অদূরে সন্ত্রাসীদের বোমার আঘাতে খুন হন সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা।

ট্রাইব্যুনালের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মাজাহারুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরের পর আদালতে উপস্থিত হন ডিসকো সাত্তার। ওকালত নামায় তিনি উল্লেখ করেন, জীবন এবং জীবিকার তাগিদে খুলনার বাইরে থাকায় মামলার রায় প্রচারের সময়ে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি রায়ের বিষয়টি অবগত ছিলেন না।

ট্রাইব্যুনাল থেকে জানা গেছে, সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যার দু’দিন পর ২০০৪ সালের ১৭ জানুয়ারি খুলনা সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) রণজিৎ কুমার দাস বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার তৎকালীন ওসি মোশাররফ হোসেন ২০০৪ সালের ২০ জুন হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট দাখিলের পর থেকে ডিসকো সাত্তার পলাতক ছিলেন।

দীর্ঘ এক যুগ পর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর আদালত মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলায় ৯ জন আসামিকে দোষী সাবস্ত করে যাবজ্জীবন কারদণ্ড প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সুমন ওরফে নুরুজ্জামান, বুলবুল ওরফে বুলু, আকরাম হোসেন ওরফে আকরাম ওরফে বোমরু আকরাম ওরফে বোমা আকরাম ওরফে ফাটা, আলী আকবর সিকদার ওরফে শাওন, ছাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, বেল্লাল, মিঠুন ওরফে মিটুল, সাকা ওরফে শওকাত হোসেন, সরো ওরফে সরোয়ার হোসেন।

মামলায় দু’জন খালাস পেয়েছিলেন। তারা হলেন হাই ইসলাম ও কচি ওরফে ওমর ফারুক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ