বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিনী ডা. জোবাইদা রহমানের চার ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি দিয়েছে দলটি। গত সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার স্বাক্ষরে এই চিঠি দেওয়া হয়।

আবদুস সাত্তার চিঠি দেওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, ডা.

জোবাইদা রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা শেষে আগামী সোমবার দেশে ফিরবেন। ডা. জোবাইদা রহমান তার সফর সঙ্গী হিসাবে দেশে আসবেন এবং ধানমন্ডিস্থ তার বাবার বাসায় অবস্থান করবেন। জিয়া পরিবারের সদস্য এবং তারেক রহমানের সহধর্মিনী হিসেবে তার জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। সেই কারণে তার ঢাকাস্থ বাসায় অবস্থানকালীন এবং যাতায়াতের সময় একজন স্বশস্ত্র গানম্যান, গাড়িসহ পুলিশ প্রটেক্টশন, বাসায় পুলিশ পাহারা এবং বাসায় আর্চওয়ে স্থাপনের মধ্য দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে আগামী ৫ মে সকালে দেশে ফিরবেন বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে। তার সঙ্গে দুই পূত্রবধু (তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান) থাকবেন।

সাবেক নৌ বাহিনী প্রধান রিয়ার এ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের মেয়ে জোবাইদা রহমান ২০০৭ সালে স্বামী তারেক রহমানকে উন্নত চিকিৎসার লন্ডনে নিয়ে যান। এরপর তিনি আর দেশে ফেরেননি।

তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছিল।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ত র ক রহম ন রহম ন র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

দোষ স্বীকারে রাজি চিকিৎসক

‘ফ্রেন্ডস’ তারকা ম্যাথিউ পেরির মৃত্যুর আগে তাঁকে কেটামিন সরবরাহের অভিযোগে অভিযুক্ত ক্যালিফোর্নিয়ার চিকিৎসক সালভাদোর প্লাসেন্সিয়া দোষ স্বীকারে রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল প্রসিকিউটররা। গতকাল সোমবার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্লাসেন্সিয়া কেটামিন সরবরাহের চারটি অভিযোগে দোষ স্বীকার করবেন। এসব অভিযোগের সর্বোচ্চ শাস্তি ৪০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে দোষ স্বীকার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে লস অ্যাঞ্জেলেসে নিজের বাড়ির সুইমিংপুলে ৫৪ বছর বয়সী তারকার মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল। ময়নাতদন্তে পেরির মৃত্যুর কারণ হিসেবে পাওয়া যায় ‘কেটামিনের তীব্র প্রভাব’। এটি একটি নিয়ন্ত্রিত ওষুধ, যা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কেনা যায় না। কিন্তু অনেকেই এই ওষুধ দিয়ে নেশা করেন। তবে ম্যাথিউ পেরি কী হিসেবে গ্রহণ করতেন, তা সে মুহূর্তে বোঝা যায়নি। হতাশা ও আসক্তির সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ লড়াইয়ের কথা প্রকাশ্যে এলেও হঠাৎ তাঁর মৃত্যু বিশ্বজুড়ে ভক্তদের স্তব্ধ করে দেয়।

ম্যাথিউ পেরি। এএফপি ফাইল ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ