সত্যিকারের গুণীজন আমাদের সমাজে বেশি নেই। যাঁদের চিন্তাচেতনা, জীবনদর্শন সমাজকে আলোকিত করে, জাতিকে অগ্রযাত্রার পথ দেখায়, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শেখায়, প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে অনুপ্রাণিত করে, তেমনই একজন  মনীষী ছিলেন সরদার ফজলুল করিম। জীবনের স্বাভাবিক নিয়মে তিনি আর সশরীর নেই; কিন্তু তাঁর কাজ ও আদর্শ কালজয়ী হয়ে থাকবে—এমন মন্তব্য করে শ্রদ্ধা জানানো হলো তাঁর জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে শুক্রবার বিকেলে ‘মনীষী সরদার ফজলুল করিমের জন্মশতবার্ষিকী’ উদ্‌যাপনের আয়োজন করা হয়েছিল। গান, আবৃত্তি, আলোচনা ও স্মৃতিচারণা, রচনা থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় তাঁকে। আয়োজন করেছিল সরদার ফজলুল করিম স্মৃতি পরিষদ। ১৯২৫ সালের পয়লা মে তাঁর জন্ম। আয়োজকেরা জানান, মে দিবসের কারণে এক দিন পরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

‘মনীষী সরদার ফজলুল করিমের জন্মশতবার্ষিকী’র অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শক–শ্রোতাদের একাংশ। শুক্রবার বিকেলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ম

এছাড়াও পড়ুন:

সুলতানের কৃষিদর্শন নিয়ে পাঁচ প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে গবেষণা

চিত্রকর এস এম সুলতানের কৃষিজিজ্ঞাসা পাঠ করতে গিয়ে লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ পঞ্চশস্য, পঞ্চভূত কিংবা পঞ্চইন্দ্রিয়ের মতো প্রধানত পাঁচটি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন। প্রথমত সুলতানের কাজের কোনো পূর্ণাঙ্গ পাবলিক নথি ও আর্কাইভ নেই। দ্বিতীয়ত সুলতানকে নিয়ে অধিকাংশ আলাপ তাঁকে ‘মিথ’ ও ‘মহান’ বানিয়ে তাঁর শিল্পকর্মের বিশ্লেষণ এবং বিবরণ বিস্তারের চেয়ে শিল্পীর নানাবিধ ব্যক্তিজীবনকেই বেশি ‘চাউর’ করে। তৃতীয়ত তাঁকে ‘বোহেমিয়ান’ বানিয়ে তাঁর সৃষ্টিকর্মকে ‘একক’ ও ‘অপর’ করে ফেলা হয়। চতুর্থত ছবির ‘পেশি’ নিয়ে যত আলাপ, বরং কম আলাপ হয় তাঁর চিত্রকলার কারিগরি বনিয়াদ নিয়ে। পঞ্চমত কৃষির রাজনৈতিক বাস্তবতা ও ধারাবাহিক ঐতিহাসিকতাকে আড়াল করে অধিকাংশ আলাপই সুলতানের কৃষকদের ‘আদিম’ বানিয়ে রাখে।

সুলতানের ছবির কৃষিজিজ্ঞাসা নিয়ে গবেষণামুখী কোনো বিস্তর আলাপ নেই। ‘পাঁচ প্রশ্ন ও বিস্ময়’ থেকেই গবেষক সুলতানের ‘কৃষিজিজ্ঞাসাকে’ বুঝতে চেয়েছেন। সুলতান জন্মশতবাষির্কী উপলক্ষে কাজটি শুরু হলেও এর সঙ্গে যুক্ত হয় গবেষক পাভেল পার্থর পূর্ববর্তী মাঠকর্মের অভিজ্ঞতা।

সুলতান কোন কৃষিব্যবস্থার ছবি এঁকেছেন কিংবা কৃষিরাজনীতিকে কেমনভাবে চিত্রিত করেছেন, সেসবের ধারাবাহিক প্রামাণ্য আলাপ আমরা পাই না। আর এসব কারণে পাভেল পার্থ বোধ করেন সুলতানের ছবির কৃষিজিজ্ঞাসা নিয়ে গবেষণামুখী কোনো বিস্তর আলাপ নেই। ‘পাঁচ প্রশ্ন ও বিস্ময়’ থেকেই গবেষক সুলতানের ‘কৃষিজিজ্ঞাসাকে’ বুঝতে চেয়েছেন। সুলতান জন্মশতবাষির্কী উপলক্ষে কাজটি শুরু হলেও এর সঙ্গে যুক্ত হয় গবেষকের পূর্ববর্তী মাঠকর্মের অভিজ্ঞতা।

কর্মক্ষেত্রে কৃষক, ১৯৭৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুলতানের কৃষিদর্শন নিয়ে পাঁচ প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে গবেষণা