মেসি-ইয়ামাল: প্রথম ১০০ ম্যাচে কে বেশি ভালো
Published: 3rd, May 2025 GMT
লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা তাঁর অপছন্দ। কিন্তু মানুষ চাইলেই কি সব হয়?
ভাগ্যলিখনে অন্যকিছু থাকলে কিছুই করার থাকে না। লামিনে ইয়ামালের ক্ষেত্রেও ঠিক তা–ই। মেসির সঙ্গে তুলনা তাঁর ভালো লাগে না, কিন্তু বিধিলিপি তাঁকে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির সঙ্গে এমন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ফেলেছে যে চাইলেও এখন আর কিছু করার নেই। মেসির সঙ্গে ইয়ামালের তুলনা চলছেই, চলবেই, কে জানে সামনের দিনগুলোয় হয়তো আরও বাড়বে!
দুজনের মধ্যে এ তুলনাটা চলছে বার্সেলোনাকে কেন্দ্র করে। বার্সায় মেসির খেলার ধরনের সঙ্গে ইয়ামালের খেলার মিল পাচ্ছেন অনেকেই। একই জার্সিতে মেসির মতোই ডান উইংয়ে খেলেন ইয়ামাল, মেসির মতোই বাঁ পায়ের ফুটবলার, কিন্তু দুটো পা–ই চলে ছুরির মতো, ডান প্রান্ত দিয়ে রক্ষণ ছিঁড়েখুঁড়ে কাট–ইন করে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে গোল করাতেও মেসিকে মনে করিয়ে দেন ইয়ামাল। মিল আছে আরও। সেটা সরাসরি নয়, অদৃষ্টের মারপ্যাঁচও বলতে পারেন।
আরও পড়ুন‘মরার পর’ বিশ্রাম নিতে চান ব্রুনো ফার্নান্দেজ১৫ ঘণ্টা আগেইয়ামালের বয়স যখন ৬ মাস, মেসি তখন বার্সায় ২০ বছরের টগবগে তরুণ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘দারিও স্পোর্ত’ ও ইউনিসেফের পরিচালনায় বার্ষিক চ্যারিটির অংশ হিসেবে ক্যালেন্ডারের জন্য বার্সার খেলোয়াড়েরা বেশ কয়েকটি পরিবারের শিশুদের সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন। সেদিন দৈব নির্দেশনাতেই যেন মেসি দাঁড়িয়েছিলেন ৬ মাস বয়সী ইয়ামাল ও তাঁর মায়ের পাশে। এরপর ইয়ামালকে কোলে নেওয়ার পাশাপাশি একটি গামলায় গোসল করিয়ে দেন মেসি। গত বছর জুলাইয়ে ইয়ামালের বাবা সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স–এ পোস্ট করার পর অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নিয়ে বলেছিলেন, এ এক অলৌকিক ‘ব্যাপ্টিজম’ (দীক্ষাদান)—কারণ, ইয়ামালের সঙ্গে তত দিনে মেসির তুলনা শুরু হয়েছে, ইয়ামাল তত দিনে বার্সার ভবিষ্যৎও।
ইন্টারের বিপক্ষে সেমিফাইনাল প্রথম লেগে শততম ম্যাচ খেলেন ইয়ামাল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দলের প্রতি অনুগত থাকার অঙ্গীকার, জামায়াতে যোগ দিলেন মেজর (অব.) আ
বিএনপির সাবেক নেতা, সাবেক এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি জামায়াতে যোগ দেন।
মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দলটির অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দলটিতে যোগ দিয়ে তিনি ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ, দেশের স্বার্থ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবশিষ্ট জীবন অতিবাহিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিয়ম-নীতি, আদর্শ, দলীয় শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের প্রতি সর্বদা অনুগত থাকার অঙ্গীকার করেন।
ডা. শফিকুর রহমান এ সময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন এবং তার দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করেন।
যোগদান অনুষ্ঠানে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ রাজনীতিক। বিএনপিতে থাকা অবস্থায় দলটির বিরুদ্ধে মন্তব্য করাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি আলোচিত হন।
বিএনপি থেকে দুইবার কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//