ঢাকাই সিনেমার রঙিন দুনিয়ার চিরচেনা মুখ জায়েদ খান। পর্দার বাইরেও আলোচনায় থাকেন; মাঝেমধ্যে ক্যামেরার বাইরেই তিনি বেশি নাটকীয়! কখনো শিল্পী সমিতির নির্বাচন, কখনো ডিগবাজি, আবার কখনো তারকা কাণ্ড— সব মিলিয়ে তিনি যেন খবরের শিরোনামের ‘ডিফল্ট সেটিং’।

তবে এবারের চমকটা একটু ভিন্ন। ঢাকায় গুঞ্জন উঠেছে— ভাইরাল এই নায়ক নাকি মার্কিন মুলুকে গোপনে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন! কনে একেবারে ‘হাই-ফাই’ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক! গোপনে সংসারও নাকি গুছিয়ে ফেলেছেন! সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়—‘অভিনন্দন জায়েদ ভাই’, ‘বউয়ের ছবি কই?’, ‘মধুচন্দ্রিমা কোথায়?’

এত উত্তেজনার শুরুটা কিন্তু ছিল বেশ নিরীহ। ঘটনাস্থল: মগবাজার, একটি টং দোকানের পাশে চায়ের আড্ডা। চরিত্র: তিন সাংবাদিক— ইমরুল শাহেদ, আমি এবং রুহুল আমিন ভূঁইয়া। আলোচনা চলছিল ফেসবুকে মনিটাইজেশন নিয়ে।

আমিই বলেছিলাম, “আমার ফেসবুক মনিটাইজড, ছবি দিলেই ডলার আসে!”মজা করেই বলা। এ কথা শুনে রুহুল আমিনও বলল, “তাহলে আমিও ছবি দিব।” এবং সে দিয়েও দিলো জায়েদ খানের সঙ্গে একটি পুরোনো ছবি।

ক্যাপশন নিয়ে একটু ভাবনা-চিন্তা হলো। আমি বললাম, ‘‘শুভ কামনা’ দিয়ে দাও।” ব্যস, রুহুল আমিন ক্যাপশনে লিখে দিলো : “শুভ কামনা রইলো।”আর তাতেই ফেসবুকবাসীর কল্পনার পালে পুরো হ্যারিকেন!

কমেন্টে শুভেচ্ছার বন্যা। কেউ কেউ তো নিশ্চিত ভঙ্গিতে বলে বসলেন—“বিয়ে করে ফেলেছেন চুপিচুপি!”

নিউ ইয়র্ক থেকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে হেসে ফেলেন জায়েদ খান। বলেন, “আমাকে নিয়ে মানুষ কিছু না কিছু মজা করতেই চায়। তাই এমন গুজব রটেছে।”

বিয়ের গুঞ্জন পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “আমি এখন নিউ ইয়র্কে। নতুন কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। শিগগিরই ভালো কিছু দেখতে পাবেন ইনশাআল্লাহ।”

জানা গেছে, জায়েদ খান এখন আন্তর্জাতিক শো এবং মিডিয়া প্রজেক্ট নিয়েই ব্যস্ত। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাই— সবখানে পারফর্ম করছেন। এর পাশাপাশি নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’–তে সেলিব্রিটিদের নিয়ে টক শো উপস্থাপনাও করছেন।
তার সর্বশেষ সিনেমা ‘সোনার চর’ মুক্তি পেয়েছিল গত বছরের শুরুতে। সেখানে ছিলেন মৌসুমী, ওমর সানী, শহীদুজ্জামান সেলিম, শবনম পারভীন, পাপিয়া মাহির মতো তারকারা।

তো আপাতত বিয়ের ঘণ্টা নয়— শুধুই কাজের সুর বাজছে জায়েদ খানের জীবনে। তবে কে জানে, পরবর্তী সিনেমার নাম হলেও হতে পারে ‘মার্কিন বধূ’!

ঢাকা/রাহাত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফটিকছড়িতে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকদের সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহারকে মনোনয়ন না দেওয়ায় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর সমর্থকেরা। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে তাঁরা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পুলিশের আশ্বাসে রাত আটটার দিকে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, ফটিকছড়ি সদরের বিবিরহাটে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর নাজিরহাট ও হেঁয়াকোতে তিন দফায় বিক্ষোভ করেন কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁরা অবিলম্বে সরোয়ার আলমগীরকে প্রত্যাহার ও আজিম উল্লাহ বাহারকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।

এদিকে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়ে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। পরে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে প্রায় দুই ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমদ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সমাবেশ করেন আজিম উল্লাহ বাহারের সমর্থকেরা। সমাবেশ শেষে মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ায় তাঁর কর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। তিন শতাধিক কর্মী দুই স্থানে সড়কে বসে ছিলেন এবং টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে আমরা গিয়ে সবাইকে বোঝালে অবরোধ তুলে নেন।’

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের ফটিকছড়িসহ ১৬ আসনের মধ্যে ১০টিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ফটিকছড়ি আসনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার আলমগীরকে দলের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এই আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আজিম উল্লাহ বাহারসহ পাঁচজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ