চট্টগ্রামে প্রাইভেটকারে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামি মো. হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে হাতিয়ার নলের চর ভূমিহীন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার চট্টগ্রাম নগরীতে তাঁর বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। তিনি চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার পশ্চিম শহীদনগর সুবাহান কন্ট্রাক্টর বাড়ির মো.

আলমের ছেলে।

বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, জোড়া খুনের পর হাসান আত্মগোপনে চলে যায়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যে পরে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, জোড়া খুনের ঘটনায় ছয়টি মোটরসাইকেলে হাসানসহ ১৪ সন্ত্রাসী অংশ নেয়। তাদের টার্গেট ছিল বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার তালিকাভুক্ত আরেক অপরাধী সারওয়ার হোসেন বাবলাকে হত্যা করা। বাবলা গাড়িতে থাকলেও প্রাণে রক্ষা পান। তাঁর শরীরে গুলিও লাগেনি। এ খুনের ঘটনার পেছনে দুটি উদ্দেশ্য ছিল, যার একটি বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের লড়াই এবং নগরীর শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের প্রতিশোধ নেওয়া।

গত ৩০ মার্চ গভীর রাতে চট্টগ্রাম নগরের নতুন ব্রিজ এলাকার বালুমহাল থেকে প্রাইভেটকারে ছয় সঙ্গীকে নিয়ে বহদ্দারহাটের দিকে যাচ্ছিলেন সারওয়ার হোসেন বাবলা। কিছুদূর গেলে কয়েকটি মোটরসাইকেলে আসা সন্ত্রাসীরা ব্রাশফায়ার করে প্রাইভেটকারটি ঝাঁজরা করে দেয়। এতে প্রাইভেটকারেই মোহাম্মদ মানিক ও আবদুল্লাহ নামের দু’জন নিহত হন।

এ ঘটনায় মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে ১ এপ্রিল মামলা করেন। এতে আসামিরা হলেন– শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, তাঁর স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না, মোহাম্মদ হাসান, মোবারক হোসেন ইমন, খোরশেদ, রায়হান ও বোরহান। এর মধ্যে ছোট সাজ্জাদ এখন চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নেতানিয়াহুর দুর্নীতির মামলার শুনানি পেছানোর আবেদন খারিজ ইসরায়েলি আদালতে

ইসরায়েলের একটি আদালত প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দুর্নীতির মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহুর আইনজীবী আদালতে একটি আবেদন করেন। এতে তিনি বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের শুনানিতে যেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে আদালতে উপস্থিত হওয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

কারণ হিসেবে আইনজীবী বলেন, ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের ১২ দিনের সংঘাতের পর নেতানিয়াহুকে নিরাপত্তাবিষয়ক কাজে মনোযোগ দিতে হচ্ছে। তাই এই সময়টায় আদালতের শুনানি থেকে তাঁকে ছাড় দেওয়া হোক।

তবে জেরুজালেম ডিস্ট্রিক্ট আদালত অনলাইনে দেওয়া এক আদেশে বলেন, শুনানি বাতিল করার জন্য আবেদনপত্রে যথেষ্ট কারণ বা বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

নেতানিয়াহু তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর তাঁর সমর্থকেরা এই দীর্ঘদিনের মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে আসছেন।

প্রথম মামলায় নেতানিয়াহু ও তাঁর স্ত্রী সারার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে তাঁরা বড় বড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের সিগার, গয়না, শ্যাম্পেনের মতো বিলাসবহুল উপহারসামগ্রী নিয়েছেন।

আরও দুটি মামলায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইসরায়েলের দুটি গণমাধ্যমে নিজের পক্ষে ভালো সংবাদপ্রচারের বিনিময়ে তিনি তাদের সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার এসব মামলাকে ‘জাদুটোনা খেলা’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই মামলা এখনই বাতিল করা উচিত। অথবা এই মহান নেতাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ