বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছাবেন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায়। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান রোববার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ বিমানে (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) দেশে ফিরবেন তিনি। সোমবার লন্ডন থেকে রওনা দেবেন, ঢাকায় পৌঁছাবেন মঙ্গলবার সকালে।

এর আগে বিএনপির মিডিয়া উইং থেকে শনিবার রাত পৌনে ১২টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, খালেদা জিয়া মঙ্গলবার ঢাকায় ফিরবেন। তবে ঠিক কখন ফিরবেন তা জানানো হয়নি। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও স্থায়ী কমিটি সদস্য চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়া বিশেষ বিমান এয়ার এম্বুলেন্সে সোমবার লন্ডন থেকে রওনা হবেন। ঢাকায় পৌঁছাবেন মঙ্গলবার।

শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফিরবেন। তিনি বলেন, চার মাস পর আগামী ৫ মে লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া। আমরা যতদূর জানি যে, ওনার সঙ্গে দুই বউমা (তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও আরাফাত রহমানের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান) আসার কথা রয়েছে।

কেমন আছেন খালেদা জিয়া-জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আগের চাইতে ডেফিনেটলি ভালো আছেন’।

প্রস্তুত ফিরোজা: খালেদা জিয়ার ঢাকায় ফেরা উপলক্ষে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসা ফিরোজাকে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি বলেন, ম্যাডামে বাসভবন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। 

৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া লন্ডনে যান। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে রাজকীয় বহরের বিশেষ বিমান দিয়েছেন। ওই বিশেষ বিমানে (বিশেষ ধরনের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) করে তিনি লন্ডনে যান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ফ রব ন ব এনপ রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফেনীতে পাউবো কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

বারবার বাঁধ ভেঙে বন্যার কবলে পড়ে ফেনী। কোটি কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়ার পরও দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছেন না ফেনীবাসী। অভিযোগের তীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দিকে। তাই, পাউবো কর্মকর্তাদের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে একটি দল ফেনী পাউবো কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এ সময় উপ-সহকারী পরিচালক মো. জাহিদ হোসেনসহ দুদকের কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট প্রকল্প, আর্থিক লেনদেন ও নথিপত্র যাচাই করেন।

দুদক জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত শেষে ফুলগাজী ও পরশুরামের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করা হবে। অভিযান শেষে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

গত কয়েক বছরে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধ ভেঙে ফেনীর বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়েছে। ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় প্রাণ হারান ২৯ জন, ক্ষতি হয় শত কোটি টাকার। এ বছরও দুই দফা বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধ সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ ছিল দায়সারা। প্রকল্পে বরাদ্দ থাকলেও মাঠ পর্যায়ে কার্যকর সংস্কার হয়নি। বছরের পর বছর একই জায়গায় বারবার বাঁধ ভাঙার পরও স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গত ২৩ জুলাই ‘ফেনীর নাগরিক সমাজ’ পানি উন্নয়ন বোর্ড ঘেরাও করে। দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত এবং অনিয়মে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, “বিভিন্ন মহল থেকে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে নথিপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরপর সরেজমিন পরিদর্শন করে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।”

ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ