কাল ডিএসই পরিদর্শনে যাবেন ড. আনিসুজ্জামান
Published: 4th, May 2025 GMT
এবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পরিদর্শনে আসছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৬ মে) তিনি ডিএসই পরিদর্শন করবেন। ডিএসই ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, ওই দিন সকাল ১০টার দিকে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর ডিএসইতে উপস্থিত হবেন। সেখানে তিনি দুটি আলাদা বৈঠক করবেন। প্রথমে তিনি অংশীজনদার সঙ্গে, পরবর্তীতে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি। এরপর তিনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর কার্যক্রম ঘুরে দেখবেন।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, পুঁজিবাজারের নাজুক পরিস্থিতিতে ড.
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের নানামুখী উদ্যোগে অর্থনীতির কয়েকটি জায়গায় বড় ধরনের উন্নতি হয়েছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হ্রাস বন্ধ হয়েছে, রিজার্ভের পরিমাণ ক্রমাগত বাড়ছে, ডলার ও টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল হয়েছে, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বেড়েছে এবং ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরেছে। তবে এর মধ্যে ব্যতিক্রম কেবল পুঁজিবাজার। অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো ছোঁয়া লাগেইনি এ সেক্টরে। বরং বাজারে দরপতন নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। লেনদেনও নেমেছে তলানীতে। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা একাধিকবার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।
বিষয়টি সরকারের জন্য বেশ বিব্রতকর হয়ে উঠেছে। সরকার উত্তরণের উপায় খুঁজছেন। এর অংশ হিসেবে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করছেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
ঢাকা/এনটি/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়া এলে ঢাকার কোন কোন পথে অভ্যর্থনা, রিজভীর নির্দেশনা
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৬ মে ঢাকায় এলে তাঁকে পথে পথে অভ্যর্থনা জানাবেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। তাঁরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন।
আজ রোববার বেলা আড়াইটার পর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর ক্ষেত্রে বিএনপি ও এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কারা কোথায় অবস্থান নেবেন, তাঁরা কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না, সে বিষয়ে রুহুল কবির রিজভী আজকের সংবাদ সম্মেলনে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শেষে আগামীকাল ৫ মে (সোমবার) দেশে ফেরার কথা ছিল খালেদা জিয়ার। কিন্তু তিনি আগামীকাল দেশে ফিরছেন না। এক দিন পর ৬ মে (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টায় দেশে ফিরবেন তিনি। দেশে ফিরলে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন বিএনপি ও এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
রুহুল কবির রিজভীর নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি অবস্থান করবে বিমানবন্দর থেকে লো মেরিডিয়েন হোটেল পর্যন্ত। ছাত্রদল অবস্থান করবে লো মেরিডিয়েন হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত। যুবদল অবস্থান করবে খিলক্ষেত থেকে হোটেল র্যাডিসন পর্যন্ত। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি অবস্থান করবে হোটেল র্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত। স্বেচ্ছাসেবক দল অবস্থান করবে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত। কৃষক দল অবস্থান করবে বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত। শ্রমিক দল অবস্থান করবে কাকলী মোড় থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল পর্যন্ত। ওলামা দল, তাঁতীদল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল অবস্থান করবে শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত। মুক্তিযোদ্ধা দলসহ সব পেশাজীবী সংগঠন অবস্থান করবে বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত। মহিলা দল অবস্থান করবে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত অবস্থান করবেন। আর বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতা-কর্মীরা যাঁর যাঁর সুবিধামতো স্থানে অবস্থান নেবেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সব নেতা-কর্মী দলীয় পতাকা ও জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার এক পাশে দাঁড়াবেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেলে যাওয়া যাবে না। হেঁটে হেঁটেও যাওয়া যাবে না। এ ছাড়া বিমানবন্দর ও বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।