চট্টগ্রাম নগরে খাল থেকে আবদুর রহিম (৩২) নামের এক নির্মাণশ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে নগরের কোতোয়ালি থানার দেওয়ান বাজারের রুমঘাটা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত আবদুর রহিমের বাড়ি ভোলার চরভোতা এলাকায়। চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ান বাজার এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। তাঁর লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আজ রোববার দুপুরে মর্গের সামনে কথা হয় নিহত আবদুর রহিমের বাবা উবাইদুল্লাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তাঁর ছেলের কাছে একটি ফোন আসে। এরপর কাজে যোগ না দিয়ে সে অন্য কোথাও চলে যায়। বেলা ২টার পর থেকে তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। পরে গতকাল লাশ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে।

উবাইদুল্লাহ বলেন, আবদুর রহিম সপ্তাহখানেক আগে জানিয়েছিলেন মুঠোফোনে গেমস খেলে একটি আইফোনসহ চার লাখ টাকা জিতেছেন। যাঁরা এই পুরস্কার দেবেন, তাঁরা ৪০ হাজার টাকা চেয়েছেন। তিনি নিজে ছেলেকে ১৭ হাজার টাকা দেন। ছেলে যেখানে কাজ করে, সেখান থেকেও কিছু ঋণ নিয়েছেন। বিদেশ থেকে আসা লোকজনের কাছ থেকে ওই টাকা ও মুঠোফোন বুঝে নেওয়ার কথা বলে ছেলেকে এর মধ্যে একবার চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এলাকায় ডেকে নেওয়া হয়েছিল। তবে তখন ছেলেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে।

উবাইদুল্লাহর ধারণা টাকা-মুঠোফোন জেতার বিষয়টির সঙ্গে জড়িত জুয়াড়ি কোনো চক্র তাঁর ছেলেকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা ছিল না। জুয়ার চক্রটিই হয়তো তাঁকে হত্যা করেছে।’

আজ সকালে হাসপাতালের মর্গের সামনে উপস্থিত হন আবদুর রহিম যে প্রতিষ্ঠানের হয়ে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করতেন এর কর্মকর্তা মো.

নোমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফোনে আবদুর রহিমকে চান্দগাঁও থানার সামনে যেতে বলেন কেউ। এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

লাশের সুরতহাল তৈরি করেন কোতোয়ালি থানার এসআই বাহার মিয়া। হাসপাতালের মর্গের সামনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সুরতহালে শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবার এসে লাশ শনাক্ত করেছে‘। কেন, কী কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে; নাকি মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনোকিছু রয়েছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে। যাঁরা মুঠোফোনে আবদুর রহিমের কাছ থেকে পুরস্কারের কথা বলে টাকা নিয়েছেন, তাঁদেরও বের করার চেষ্টা চলছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র স মন

এছাড়াও পড়ুন:

গাইবান্ধায় ট্রাক্টরের ধাক্কায় নারী নিহত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ট্রাক্টরের ধাক্কায় মোরশেদা বেগম (৪০) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। রবিবার (৪ মে) দুপুরে উপজেলার কাটাখালি ব্রিজের দক্ষিণ পাশে হাওয়াখানা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মোরশেদা বেগম উপজেলার তালুককানুপর ইউনিয়নের সুন্দইল গ্রামের ভ্যানচালক রফিকুল ইসলামের স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামীর ভ্যানে চড়ে বাড়ি থেকে গোবিন্দগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন মোরশেদা। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টরের ধাক্কায় সড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলই তার মৃত্যু হয়।

গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।’’

ঢাকা/মামুন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ