ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে কমলাপুরগামী একটি ট্রেনে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্ত মো. ইয়াসিনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দুটি লুট হওয়া মুঠোফোন ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ৩ মে বিকেল পাঁচটার দিকে এগারসিন্দুর গোধূলী ট্রেনে কয়েকজন যাত্রী মুঠোফোন ও নগদ অর্থ হারান। ছিনতাইকারীরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে এসব ছিনিয়ে নেন।

সংবাদ পাওয়ার পর ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের একটি বিশেষ টিম রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্ত মো.

ইয়াসিনকে (৩৪) গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যে আরও তার তিন সহযোগী মো. হৃদয় (২০), মো. হৃদয় (২৫) ও মো. ফাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

ঢাকা রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে জানান, ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেলওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলমান।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র লওয

এছাড়াও পড়ুন:

টানা চার দিন দরপতনের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ শতাংশ

টানা চার দিন দরপতনের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের অন্যতম বৃহত্তম তেল পরিশোধনাগারে অগ্নিকাণ্ডের পর এ মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটে। যদিও তা এখন পর্যন্ত গত জুনের শেষ দিকের পর থেকে সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক দরপতনের পথে আছে।

আজ শুক্রবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ব্রেন্ট ক্রুড ৬১ সেন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৪ দশমিক ৭৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড ৬২ সেন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬১ দশমিক ১০ ডলারে উঠেছে।

যদিও সাপ্তাহিক হিসাবে ব্রেন্ট ক্রুড ৭ দশমিক ৬ শতাংশ ও ডব্লিউটিআই ৭ শতাংশ কমেছে। কারণ, সরবরাহ অতিরিক্ত থাকার পরও ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো তেল উৎপাদন আরও বাড়াতে পারে।

সূত্র জানায়, ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো নভেম্বরে তেল উৎপাদন প্রতিদিন পাঁচ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে, যা অক্টোবরের বৃদ্ধির তিন গুণ। সৌদি আরব বাজারে তাদের শেয়ার পুনরুদ্ধার করতে চাইছে। এটি সৌদি আরবের বাজারে তাদের শেয়ার পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার অংশ।

বিশ্লেষক টনি সিকামোর বলেন, যদি ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো দৈনিক পাঁচ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়, তাহলে সেটি আবার তেলের দাম কমিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। প্রাথমিকভাবে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৮ ডলার পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। এমনকি বছরের সর্বনিম্ন দাম প্রায় ৫৫ ডলারও হতে পারে।

এদিকে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো জ্বালানি তেলের উৎপাদনের সম্ভাব্য বৃদ্ধি, রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বৈশ্বিক পরিশোধনাগারের কার্যক্রম ধীরগতি ও মৌসুমি কারণে আগামী মাসগুলোয় চাহিদা হ্রাস পেলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে তেলের মজুত দ্রুত বাড়তে পারে, এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা।

যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গত বুধবার জানায়, পরিশোধনাগারের কার্যক্রমের ধীরগতি ও চাহিদা কমায় যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেল, গ্যাসোলিন ও ডিস্টিলেট মজুত বেড়েছ

সম্পর্কিত নিবন্ধ