ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে কমলাপুরগামী একটি ট্রেনে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্ত মো. ইয়াসিনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দুটি লুট হওয়া মুঠোফোন ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ৩ মে বিকেল পাঁচটার দিকে এগারসিন্দুর গোধূলী ট্রেনে কয়েকজন যাত্রী মুঠোফোন ও নগদ অর্থ হারান। ছিনতাইকারীরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে এসব ছিনিয়ে নেন।

সংবাদ পাওয়ার পর ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের একটি বিশেষ টিম রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্ত মো.

ইয়াসিনকে (৩৪) গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যে আরও তার তিন সহযোগী মো. হৃদয় (২০), মো. হৃদয় (২৫) ও মো. ফাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

ঢাকা রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে জানান, ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেলওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলমান।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র লওয

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রাজশাহী কলেজের এক ছাত্রী। তার নাম ইশরাত জাহান হাসি (২১)। তিনি রাজশাহী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত ৩টায় রাজশাহী মহানগরীর হেতেমখাঁ কাস্টমস অফিস মোড়ের একটি মেস থেকে ইশরাতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ তার প্রেমিক নাহিদ ইসলামকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে। তিনি রাজশাহী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। 

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদ বলেছেন, নাহিদ ও ইশরাতের বাড়ি নাটোরে। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মনোমালিন্যের কারণে রাতে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ইশরাত। সকালে লাশ উদ্ধারের সময় নাহিদ মেসের সামনেই ছিল। সেখান থেকেই তাকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।

ওসি জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় নাহিদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ