এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে দেখছেন না গাভাস্কার
Published: 4th, May 2025 GMT
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বিপক্ষীয় কোনো সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়নি। সর্বশেষ ২০১৩ সালে দুই দেশের মধ্যে একটি সিরিজ হয়েছিল, এরপর থেকে শুধুই আইসিসি বা এসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হচ্ছে এই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে এবার সেই সুযোগও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাস্কার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ২০২৫ সালের এশিয়া কাপে হয়তো পাকিস্তান অংশ নাও নিতে পারে। স্পোর্টস টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গাভাস্কার বলেন, ‘বিসিসিআই সবসময় ভারতের সরকারের নির্দেশ মেনে চলে। তাই এশিয়া কাপের ক্ষেত্রেও ভিন্ন কিছু হবে বলে মনে করছি না। যেহেতু এবারের আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কা, তাই সরকারের সিদ্ধান্তে পাকিস্তানকে বাদ দিয়েই টুর্নামেন্ট হতে পারে।’
সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়। ভারত সরকার এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনেছে, যার ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডসহ সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের বিপক্ষে না খেলার অবস্থান নিয়েছেন।
টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম ১০ হাজার রান করা ব্যাটার বলেছেন, ‘জানি না, সামনে কি হবে। তবে মনে হচ্ছে সামনে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ভেঙে যেতে পারে। টুর্নামেন্টটা তিন বা চার দলের হতে পারে। সেক্ষেত্রে হংকং বা সংযুক্ত আরব আমিরাতকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। তাই এসিসি ভেঙে যেতে পারে বলে মনে হচ্ছে। তবে সব কিছু নির্ভর করবে আগামী কয়েক মাস কি ঘটতে যাচ্ছে।’
ভারত আয়োজক না হয়ে যদি এককভাবে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা কিংবা অন্য কোনো দেশে হতো তাহলে ভিন্ন কিছু হওয়ারও সুযোগ থাকত বলে জানান গাভাস্কার। সেই ভিন্ন কিছুর ব্যাখ্যায় সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার বলেছেন, ‘এমনও হতে পারে এসিসি থেকে ভারত বেরিয়া আসার সিদ্ধান্ত নিল। ৪ বা ৫ দল নিয়ে টুর্নামেন্ট হলো। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানের সঙ্গে অন্য কোনো দলকে আমন্ত্রণ জানানো হলো। বাংলাদেশ কিংবা শ্রীলঙ্কা এবারের আয়োজক হলে ভিন্ন কিছু হতে পারত। কিন্তু এবারের আয়োজক যেহেতু ভারত তাই ভারতই আয়োজন করবে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো শেখ মুজিবের ‘এক তর্জনী’ স্তম্ভ
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচির প্রতিবাদে ঝিনাইদহে শেখ মুজিবের ‘এক তর্জনি’ স্তম্ভ গুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে শহরের স্বাধীনতা চত্বরে বুলডোজার দিয়ে স্তম্ভটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারা দেশে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এক তর্জনি’ স্তম্ভ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে, গত বছরের ৫ আগস্ট ‘এক তর্জনি’ স্তম্ভটি ভাঙচুর করা হয়। তবে, স্তম্ভের কিছু অংশ অবশিষ্ট ছিল। আজ সেই অংশ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান বলেন, ‘‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে অতিতে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাজার হাজার মানুষকে আওয়ামী লীগ ও হাসিনা পঙ্গু করে দিয়েছে। দেড় হাজারের বেশি ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। আজও শহীদদের রক্তে রাজপথ ভেজা। আওয়ামী লীগ হায়েনার মতো আবারো অগ্নিসন্ত্রাসে মেতে উঠেছে। যে কারণে, ছাত্র-জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে বাকশালের জনক শেখ মুজিবের স্তম্ভ গুঁড়িয়ে দিয়েছে।’’
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা স্তম্ভটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।’’
ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব