গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের মালিকানার ক্ষেত্রে নীতিমালা দরকার, যেন একচেটিয়া মালিকানা না গড়ে উঠে।

রোববার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সম্পাদক পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে লড়াই চালিয়ে যাবো। তবে স্বাধীনতার সীমা নির্ধারণ করা উচিত। প্রত্যেকের জবাবদিহিতা দরকার। 

জোনায়েদ সাকি বলেন, গণমাধ্যমের মালিকানার ক্ষেত্রে নীতিমালা দরকার, যেন একচেটিয়া মালিকানা না গড়ে উঠে। এমন কোনো নীতিমালা থাকা যাবে না- যা গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরে। ভয়হীন সমাজ তৈরি করতে চাই। রাষ্ট্র এমন কোনো আইন করতে পারবে না- যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করে। 

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের এথিক্যাল জার্নালিজমের জন্যে নীতিমালা থাকা উচিত। মব আক্রমণ চলছে। ভয়ের চোটে চাকরি চলে যাচ্ছে। রাষ্ট্র যদি মব আন্দোলন বন্ধ করতে না পারে, তাহলে রাষ্ট্রের অস্তিত্বই থাকে না।

সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম। এতে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাংবাদিক নেতারা। তারা গণমাধ্যম থেকে ফ্যাসিবাদ বের করতে স্পষ্ট রূপরেখার প্রয়োজন বলে মত দেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকলেও একটা নীতি থাকা জরুরি বলে মনে করেন তারা।

এ সভায় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও নিউ এজ-এর সম্পাদক নুরুল কবির, দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, সমকাল সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, সংবাদের নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার করিম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও জাতীয় প্রেস ক্লাসের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সরাসরি: যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানি ১৪ বিমানে সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে ইসরায়েলকে

যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির ১৪টি সামরিক কার্গো বিমান ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য সরঞ্জাম ও রসদ বহন করে এনেছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির সামরিক সহায়তা দেশে পৌঁছেছে।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বিমানগুলো ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে পরিচালিত বিমান ও সমুদ্রপথের ‘সাপ্লাই ব্রিজ’ বা সরবরাহ-সেতুর অংশ।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে চীনের দৃষ্টিভঙ্গি কী?

ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব চালান সেনাবাহিনীর ‘অপারেশনাল প্রস্তুতি’ বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় হামলার পর থেকে ইসরায়েলে আসা আট শতাধিক সামরিক কার্গো বিমানের পর এটি আরো একটি দারুণ সংযোজন।

যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি থেকে আসা সামরিক সরঞ্জামগুলোর প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ওয়াশিংটন ও বার্লিনও এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।

১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে হামলার পর থেকে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। এই পর্যন্ত উভয় দেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে; প্রাণহানি হয়েছে বহু মানুষের।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ জন নিহত ও শত শত মানুষ আহত হয়েছে।

অন্যদিকে, ইরানি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইসরায়েলি হামলায় ইরানে ৬৩৯ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩০০-এর বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ