যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশ দেশজুড়ে একাধিক অভিযান চালিয়ে আট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যাঁদের মধ্যে সাতজন ইরানি নাগরিক। আজ রোববার ব্রিটেনের মেট্রোপলিটন পুলিশ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আগের দিন গতকাল শনিবার পাঁচজনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আটক করা হয়। তাঁদের মধ্যে চারজন ইরানি নাগরিক। একটি নির্দিষ্ট স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পঞ্চম ব্যক্তির জাতীয়তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সুইন্ডন, পশ্চিম লন্ডন, স্টকপোর্ট, রোচডেল ও ম্যানচেস্টারে গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়।

মেট্রোপলিটন পুলিশের (মেট) সন্ত্রাসবিরোধী শাখার প্রধান কমান্ডার ডমিনিক মারফি বলেন, তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সম্ভাব্য প্ররোচনার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় জনসাধারণের জন্য কোনো বাড়তি ঝুঁকি আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

একই দিনে পৃথক আরেকটি অভিযানে লন্ডনে আরও তিন ইরানি নাগরিককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মেট। এটি ছিল পৃথক আরেকটি সন্ত্রাসবিরোধী তদন্তের অংশ।

এই তিনজন বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন এবং তাঁদের বসবাসের তিনটি ঠিকানায় তল্লাশি চলছে। মেট জানিয়েছে, এই তদন্তের সঙ্গে আগের পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই।

অভিযানের গোপনীয়তা রক্ষার্থে ষড়যন্ত্রের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি পুলিশ।

এই গ্রেপ্তারের ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন যুক্তরাজ্যে ইরান-সমর্থিত কার্যক্রম নিয়ে তীব্র নজরদারি চলছে। ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তারা এ ধরনের ২০টির বেশি ষড়যন্ত্র ঠেকিয়েছে এবং ইউরোপজুড়ে ইসরায়েলি ও ইহুদি স্বার্থে হামলার সঙ্গে জড়িত সুইডেনভিত্তিক এক অপরাধী চক্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা ইরানের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

লন্ডনে অবস্থিত ইরানি দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

হাজারীবাগে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৫

রাজধানীর হাজারীবাগের কালুনগরে গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রওশন আরা (৬০) নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

হাজারীবাগ থানার পুলিশ জানায়, রওশন আরা সপরিবার হাজারীবাগ ৫ নম্বর কালুনগর বেড়িবাঁধ–সংলগ্ন এলাকার একটি বাড়িতে থাকতেন। তাঁর স্বামী আমজাদ হোসেন।

হাজারীবাগ থানার পুলিশ জানায়, গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে তিন-চারজন দুর্বৃত্ত রওশন আরার বাসায় ঢোকে। এ সময় তারা রওশন আরার ছেলেকে মারধর করে। রওশন আরা তাঁর ছেলেকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাঁকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। দুর্বৃত্তদের লাঠির আঘাতে রওশন আরার মাথা ফেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে আজ শুক্রবার ভোর চারটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, রওশন আরা কালুনগরে এক ব্যক্তির জমিতে ঘর তুলে স্বামী–সন্তান নিয়ে থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁদের বিরোধ চলছিল। গতকাল রাতে দুই পক্ষই বিষয়টি সুরাহার জন্য হাজারীবাগ থানায় এসেছিলেন। সেখান থেকে রওশন আরার প্রতিপক্ষের কয়েকজন লোক কালুনগরে যান এবং ঘরে ঢুকে তাঁর পরিবারের ওপর হামলা চালান। হত্যায় জড়িত অভিযোগে এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুষ্টিয়ায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ৫
  • হাজারীবাগে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৫