যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সাত ইরানি নাগরিক গ্রেপ্তার
Published: 4th, May 2025 GMT
যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশ দেশজুড়ে একাধিক অভিযান চালিয়ে আট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যাঁদের মধ্যে সাতজন ইরানি নাগরিক। আজ রোববার ব্রিটেনের মেট্রোপলিটন পুলিশ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আগের দিন গতকাল শনিবার পাঁচজনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আটক করা হয়। তাঁদের মধ্যে চারজন ইরানি নাগরিক। একটি নির্দিষ্ট স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পঞ্চম ব্যক্তির জাতীয়তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সুইন্ডন, পশ্চিম লন্ডন, স্টকপোর্ট, রোচডেল ও ম্যানচেস্টারে গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়।
মেট্রোপলিটন পুলিশের (মেট) সন্ত্রাসবিরোধী শাখার প্রধান কমান্ডার ডমিনিক মারফি বলেন, তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সম্ভাব্য প্ররোচনার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় জনসাধারণের জন্য কোনো বাড়তি ঝুঁকি আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
একই দিনে পৃথক আরেকটি অভিযানে লন্ডনে আরও তিন ইরানি নাগরিককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মেট। এটি ছিল পৃথক আরেকটি সন্ত্রাসবিরোধী তদন্তের অংশ।
এই তিনজন বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন এবং তাঁদের বসবাসের তিনটি ঠিকানায় তল্লাশি চলছে। মেট জানিয়েছে, এই তদন্তের সঙ্গে আগের পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই।
অভিযানের গোপনীয়তা রক্ষার্থে ষড়যন্ত্রের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি পুলিশ।
এই গ্রেপ্তারের ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন যুক্তরাজ্যে ইরান-সমর্থিত কার্যক্রম নিয়ে তীব্র নজরদারি চলছে। ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তারা এ ধরনের ২০টির বেশি ষড়যন্ত্র ঠেকিয়েছে এবং ইউরোপজুড়ে ইসরায়েলি ও ইহুদি স্বার্থে হামলার সঙ্গে জড়িত সুইডেনভিত্তিক এক অপরাধী চক্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা ইরানের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
লন্ডনে অবস্থিত ইরানি দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি হওয়া ৯৪ ভরি সোনা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি হওয়া ৯৪ ভরি ১৪ আনা সোনা উদ্ধার করেছে মুন্সিগঞ্জ পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ডাকাতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান জেলার পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) উপপরিদর্শক আক্তারুজ্জামান মুন্সি, মাই টিভির প্রতিনিধি মো. রমজান, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি রমজান আলী, মাইক্রোবাসচালক জাকির হোসেন ও মিরপুরের জুয়েলারি ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৭ ডিসেম্বর বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যাত্রীবাহী বাসে করে সোনা নিয়ে যাচ্ছিলেন দুই ভাই। বাসটি গজারিয়া এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের পোশাক পরা তিনজনসহ পাঁচজনের একটি দল ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মাদক মামলার অজুহাত দেখিয়ে বাস থেকে নামিয়ে নেন। একপর্যায়ে তাঁদের হাতকড়া পরিয়ে একটি মাইক্রোবাসে তোলা হয়। পরে তাদের চোখ বেঁধে মারধর করে ১৪৫ ভরি স্বর্ণালংকার, টাকা, মুঠোফোন, এটিএম কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ওই দুই ব্যবসায়ীকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার একটি এলাকায় হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়।
খবর পেয়ে মুন্সিগঞ্জ ডিবি পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান শুরু করে। ৯ ডিসেম্বর সকাল থেকে রাজধানীর কাফরুল, মিরপুর ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব এলাকা থেকে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই পাঁচজনকে আটক করা হয়।
একপর্যায়ে তাঁদের কাছ থেকে ৯৪ ভরি ১৪ আনা সোনা, সোনা বিক্রির ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ডাকাতিতে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস, ২ জোড়া হাতকড়া, ২টি ওয়াকিটকি, পুলিশের ৩ সেট ইউনিফর্ম ও ৭টি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়।
মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলমের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় গজারিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অবশিষ্ট সোনা ও পলাতক এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।