রুদ্ধশ্বাস জয়ে শিরোপা লড়াইটা ‘এল ক্লাসিকো’ পর্যন্ত নিয়ে গেল রিয়াল
Published: 4th, May 2025 GMT
প্রায় সব হারানো রিয়াল মাদ্রিদের ভরসা এখন লা লিগার শিরোপা। যেখানে প্রতিটি ম্যাচ এখন রিয়ালের জন্য বাঁচা-মরার। একটি হার কিংবা ড্র রিয়ালের স্বপ্নকে মিশিয়ে দিতে পারে ধুলোয়। যার ফলে মৌসুমও তাদের শেষ করতে হতে পারে শূন্য হাতে। তেমনই এক পরিস্থিতিতে আজ সেল্তা ভিগোর মুখোমুখি হয়ে রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে রিয়াল।
অথচ ম্যাচটা রিয়ালের সহজেই জেতার কথা ছিল। কিলিয়ান এমবাপ্পে ও আরদা গুলেরের নৈপুণ্যে ৪৮ মিনিটেই রিয়াল এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে। এমবাপ্পে করেছেন জোড়া গোল আর গুলের একটি গোলের পাশাপাশি করেছেন একটি অ্যাসিস্টও। কিন্তু তিন গোলের সেই লিডও এক সময় যথেষ্ট মনে হচ্ছিল না।
দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৭৬ মিনিটে ব্যবধান ৩-২ করে সেল্তা। গোল করেন জাভি রদ্রিগেজ ও উইল্ট সুইডবার্গ। ব্যবধান কমিয়ে রিয়ালের ওপর আক্রমণের ঝড়ও তোলে অতিথিরা। সমতা ফেরানোর একাধিক সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমতাসূচক গোলটি আর পায়নি।
আরও পড়ুনরিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকেরা কেন নিজেদের খেলোয়াড়দের শিষ দেয়২ ঘণ্টা আগেশ্বাসরুদ্ধকর এই জয়ের ফলে বার্সেলোনার সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধানটা ৭ থেকে ৪-এ নামিয়ে আনল রিয়াল। ৩৪ ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট ৭৯ আর সমান ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৭৫। এখন লা লিগায় নিজেদের পরের ম্যাচে একের অপরের মুখোমুখি হবে রিয়াল-বার্সা। মূলত সেই ম্যাচটিতেই হতে পারে লা লিগার শিরোপা নির্ধারণ। ম্যাচটিতে জিতলে আশা বাঁচিয়ে রাখতে পারবে রিয়াল আর হারলে ট্রফি উঁচিয়ে ধরে রাখার সম্ভাবনা একরকম শেষ হয়ে যাবে বললেই চলে।
জোড়া গোল করেছেন এমবাপ্পে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুরে টাকা চুরির অভিযোগ তোলায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা
দিনাজপুরের বিরামপুরে টাকা চুরির অভিযোগ তোলায় সাজেদুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের জোলাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাজেদুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত অছির উদ্দিনের ছেলে। তিনি মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী ছিলেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন একই গ্রামের রায়হান কবির (২২) ও তাঁর চাচাতো ভাই নুরুন্নবী ইসলাম (২৩)। ঘটনার পর তাঁরা পলাতক।
নিহত ব্যক্তির পরিবার ও প্রতিবেশীদের বরাতে জানা যায়, গতকাল বিকেলে রায়হান কবির সাজেদুলের কাছে টাকা ধার চান। সাজেদুল টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে রাখা সাজেদুলের গচ্ছিত ছয় হাজার টাকা হারিয়ে যায়। তিনি এ ঘটনায় রায়হান কবিরকে জিজ্ঞেস করলে প্রথমে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার পর রায়হান তাঁর চাচাতো ভাই নুরুন্নবীকে ডেকে আনেন। পরে দুজনে মিলে বাঁশের লাঠি দিয়ে সাজেদুলকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে তাঁরা সাজেদুলের বুকে ও অণ্ডকোষে লাথি মারেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় বাধা দিতে গেলে সাজেদুলের মাকেও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পরিবার তাঁকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকেরা অবস্থার অবনতি দেখে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু পথে ফুলবাড়ি এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ‘টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত দুজন পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’