বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট সমাধানসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ইউজিসি। শিক্ষার্থীরাই আমাদের সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। তাদের জীবনমান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।”

রবিবার (৪ মে) জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. রেজাউল করিমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ইউজিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বাজেট, আবাসন ও ভাতা বাড়ানোসহ শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অবকাঠামোগত দিকের পাশাপাশি মানবিক ও কল্যাণমুখী দৃষ্টিভঙ্গি বেশি জরুরি। জবির দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে তাৎক্ষণিক কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রেজাউল করিম বলেন, “শিক্ষার্থীদের কল্যাণকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। ইউজিসির সহযোগিতা আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও বেগবান করবে।”

সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন জবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, শিক্ষার্থীবিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক প্রমুখ।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউজ স

এছাড়াও পড়ুন:

রাকসু নির্বাচনে ৮ অনিয়মের অভিযোগ শিবির সমর্থিত প্যানেলের

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে আটটি অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল।

ভোটগ্রহণ চলাকালে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগগুলো পড়ে শোনান শিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফাহিম রেজা।

আরো পড়ুন:

২৫ বাসে ছয় ধাপে ক্যাম্পাসে আসছেন শিক্ষার্থীরা

রাকসুতে ৭০ শতাংশ ভোটারের আশা উপাচার্যের

তিনি বলেন, “ভোট গ্রহণের সময় ভোটারদের হাতে দেওয়া অমোচনীয় কালি মুছে যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন অনুমতি দিলেও সিরাজী ভবন, রবীন্দ্র ভবন ও জগদীশ চন্দ্র বসু ভবনের ভোটকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের চিরকুট নিয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে।”

তিনি অভিযোগ করেন, “ছাত্রদল ও আধিপাত্যবিরোধো প্যানেলের প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটকেন্দ্রের ১০০ গজের মধ্যে প্রচারণা চালাচ্ছে। খালেদা জিয়া ও হবিবুর রহমান হলের পাশে ছাত্রদল বুথ নির্মাণ করেছে, যা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে না।”

ফাহিম অভিযোগ করেন, “ক্যাম্পাসে এখন বহিরাগত প্রবেশ করছে। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কড়াকড়ি শিথিল করেছে। নীতিমালা লঙ্ঘন করে গত রাতে ক্যাম্পাসে দেয়াল লিখন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।” 

ফাহিমের অভিযোগ, “ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেল ও জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জামায়াত নাকি অস্ত্রের রাজনীতি করছে এমনটি বলা হচ্ছে। ছাত্রদলের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ক্যাম্পাসে বসে থেকে এসব গুজব ছড়াচ্ছেন। ছাত্রদলের সভাপতি নিজেও ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়েছেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। কমিশন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করছি।” 

প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “এই নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়েছে কি না সেটি ফলাফলের পর বলা যাবে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বাধ্য করব সুষ্ঠুভাবে ফলাফল ঘোষণা করার জন্য।”

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ