ক্যাসপারস্কি, রবি আজিয়াটা পিএলসি ও আইসিটি ডিস্ট্রিবিউশনের উদ্যোগে দেশে প্রিমিয়াম পরিষেবা সচল হয়েছে।
ফলে অপারেটরের গ্রাহকরা বিশেষ সাইবার সুরক্ষা নিতে পারবেন মোবাইল ব্যালান্স ব্যবহার করেই।
উদ্যোক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যবস্থার দ্রুত সম্প্রসারণের সঙ্গে ম্যালওয়্যার, ফিশিং, র‍্যানসমওয়্যার ছাড়াও বৈশ্বিক সাইবার হুমকি বাড়ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে নিরাপদ অনলাইন অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে সুরক্ষামূলক উদ্যোগ সময়োপযোগী ও জরুরি। বিশেষত তরুণ প্রজন্মকে লক্ষ্য করে ক্যাসপারস্কি প্রিমিয়াম পরিষেবা ডিজাইন করা হয়েছে। বর্তমানে যারা অনলাইনে শিক্ষাদান, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, গেমিং আর ডিজিটাল উদ্যোক্তা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত, তাদের জন্য নিরাপদ সাইবার পরিবেশ নিশ্চিত করাই এ উদ্যোগের প্রধান উদ্দেশ্য। অভিভাবকরা এমন সেবার মাধ্যমে সন্তানকে অনলাইন ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ ও স্বস্তি পাবেন। রবি আজিয়াটা পিএলসির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমেদ বলেন, শুধু পণ্যের উদ্বোধন নয়; গ্রাহককে নিরাপদভাবে ডিজিটাল বিশ্ব আবিষ্কারে সহায়তা করার পদক্ষেপ। রবি সব সময় নিরাপদ ও স্মার্ট সংযোগের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করবে।
ক্যাসপারস্কি হেড অব কনজ্যুমার চ্যানেল চুন হং চি বলেন, যুগলবন্দির উদ্দেশ্য ইন্টারনেট গ্রাহক যেখানেই থাকুন না কেন, তাদের সুরক্ষিত রাখার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান ডিজিটাল পরিবেশের জন্য শক্তিশালী সুরক্ষা অপরিহার্য। ক্যাসপারস্কি, রবি ও আইসিটি ডিস্ট্রিবিউশনের উদ্যোগে তা নিশ্চিত করা হবে।
আইসিটি ডিস্ট্রিবিউশনের গ্রুপ সিইও
ও চেয়ারম্যান আলি ওবায়েদ বলেন, ক্যাসপারস্কির মতো বৈশ্বিক সাইবার সিকিউরিটি ব্র্যান্ডকে স্থানীয়ভাবে রূপান্তর করা এবং রবি ও এয়ারটেল নেটওয়ার্কের নির্বিঘ্ন বাস্তবায়ন করা এখন দায়িত্ব। নতুন যুগলবন্দি দক্ষিণ এশিয়ার মোবাইল সিকিউরিটির জন্য নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। অপারেটর দুটির গ্রাহকরা ওয়েব ও মোবাইল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ক্যাসপারস্কি প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন ও অ্যাক্টিভেশনের সুবিধা নিতে পারবেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চবির বিশেষ ভোজের টোকেনে অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা ‘অতিথি’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন আবাসিক হলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও বিশেষ ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এতে আবাসিকদের শিক্ষার্থী বলা হচ্ছে এবং অনাবাসিকদের অতিথি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া, আবাসিকদের জন্য টাকার পরিমাণ কম ধরলেও অনাবাসিকদের জন্য বেশি ধরা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ ফরহাদ হোসেন হলে উন্নত ভোজের টোকেন আবাসিকদের জন্য ১০০ টাকা ধরা হয়েছে। অপরদিকে, অতিথিদের জন্য ধরা হয়েছে ১৭০ টাকা; এই অতিথিরা হলেন হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী। শামসুন নাহার হলে আবাসিকদের জন্য ৮০ টাকা, অনাবাসিকদের জন্য ১৭০ টাকা। মিল পদ্ধতি চালু থাকা আমানত হলে আবাসিকদের জন্য ফ্রি হলেও অনাবাসিকদের জন্য ৭০ টাকা। তবে সোহরাওয়ার্দী হলে আবাসিক-অনাবাসিক সবার জন্যই ১৫৫ টাকা ধরা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল শাবিপ্রবি প্রশাসন

চবিতে বিপ্লবী ছাত্র ঐক্যের আত্মপ্রকাশ

এদিকে, বিজয়-২৪ হলের প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে আবাসিক-অনাবাসিক সবার জন্য ৮০ টাকা উল্লেখ করলেও দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তিতে অনাবাসিকদের জন্য ১৭০ টাকা ধরা হয়েছে। এভাবে অন্যান্য হলগুলোতেও একই অবস্থার কথা জানা গেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী জারিফ মাহমুদ বলেন, “৫ আগস্টের ফিস্ট নিয়ে হলে হলে বিশেষ খাবারের আয়োজন করছে, সেখানে আবাসিক-অনাবাসিক আলাদা করেছে। আমার প্রশ্ন হলো, প্রশাসনদের ছাত্র বা সন্তান কি শুধু আবাসিকরা? আমরা যারা অনাবাসিক, তারা কি বিশ্ববিদ্যালয়ে উড়ে এসেছি?”

তিনি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনারা আমাদের হলে সিট দিতে পারেননি, এটা আপনাদের ব্যর্থতা। এই আবাসিক-অনাবাসিক পরিচয় বন্ধ করুন। আয়োজন করলে সবার জন্য সমান করে আয়োজন করুন। আর সেটা না পারলে আয়োজন বন্ধ করুন।”

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম শাহ ফেসবুকে লেখেন, “কোনো একটা বিশেষ দিন এলেই দেখা যায়, হল প্রশাসনগুলোর আবাসিক শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে দাঁড় করানোর ভণ্ডামি। ৫ তারিখে আয়োজনকে ঘিরে তারা আবার সেই অতিথি টার্ম সামনে নিয়ে আসছে। ফরহাদ হলে অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ ভোজের আয়োজনের টোকেন আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা এবং অতিথিদের জন্য ১৭০ টাকা। বাকি হলগুলোতে বোধহয় তাই করেছে। কিন্তু এই অতিথিগুলোও তো বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী।”

তিনি বলেন, “বাহির থেকে যে কয়েকজন শিক্ষার্থী আসবে, তাদের থেকে ৭০ টাকা করে বেশি না নিলে তো হল প্রশাসন দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে না। আর আপনাদের যদি সামর্থ্য নাই থাকে, কাউকেই খাওয়ায়েন না। কিন্তু ৫ আগস্টের দিনকে কেন্দ্র করে করা অনুষ্ঠানে প্রিভিলেজড-আনপ্রিভিলেজড বিষয়টা জিইয়ে রাখাটা নিতান্ত নোংরামি লাগছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এটা নিয়ে ভাবা উচিত।”

এ বিষয়ে শহিদ মো. ফরহাদ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান বলেন, “এ সিদ্ধান্তটি শুধু ফরহাদ হলের জন্য নয়, অন্যান্য হলেও এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। মূলত উন্নত ভোজের আয়োজনটি আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য করা হয়েছে। তারপরেও কোনো অনাবাসিক শিক্ষার্থী বা কারো বন্ধুবান্ধব অংশ নিতে চাইলে পারবে। সেক্ষেত্রে তাদের জন্য টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ে সব হল প্রাধ্যক্ষের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ